আজকাল ওয়েব ডেস্ক: কমলালেবু প্রায় সবাই খাই। শীতের অন্যতম ফল এটি।কিন্তু এই লেবু খাওয়ার পরে খোসা ফেলে দেবেন না। জানেন কি নানা ক্ষতিকর রোগের মহৌষধি এই খোসা।গরম জলে কমলালেবুর খোসা ভিজিয়ে রাখুন আধঘন্টা।মধু দিয়ে খান।এই পানীয় আপনার শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ইনফ্ল্যামেশনের সঙ্গে লড়াই করে।মারণ রোগ ক্যান্সার, হার্ট ও নিউরো সমস্যাকে প্রতিরোধ করে এই খোসার পানীয়।সম্প্রতি এগ্ৰিকালচার ও ফুড কেমিস্ট্রির জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে, কার্ডিওভাস্কুলার রোগে অনবদ্য এই খোসার পানীয়।
কমলালেবুর খোসা ভিটামিন সি এর উৎস।পনিফেনলে সমৃদ্ধ হওয়ায় এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান।যা ত্বকের সমস্ত ইনফেকশন, ব্রণ, বলিরেখাকে রোধ করতে পারে এই খোসা।ত্বকে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ত্বককে মসৃণ, নরম করে তুলতে কমলালেবুর খোসার কোনও বিকল্প নেই। তবে কমলার খোসা সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বকের জন্য তাজা কমলার খোসার সঙ্গে মুসুরের ডাল বেটে নিন। বেটে মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে লাগান। এতে ত্বক মসৃণ তো হবেই, মুখের দাগও দূর হবে।ত্বকের শুষ্কতা থেকে বাঁচতে কমলার খোসা ও টক দই প্যাক হিসাবে ব্যবহার করুন। টক দই এক টেবিল চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়োরসঙ্গে মিশিয়ে গোটা মুখে লাগান
পেকটিনের উপস্থিতি থাকায় এই খোসা খেলে বহুদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম শক্তিকে মজবুত করে। তাছাড়া ফাইবার থাকায় শরীরে সুগারের মাত্রাকে বেশি শোষণ করতে দেয় না।তাই ডায়বেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই খোসা ভেজানো পানীয়। ব্লাড সুগারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। মেটাবলিজমকে শক্তিশালী করে ওজনকে চটজলদি ঝরাতে সাহায্য করে।
স্ক্রাবার হিসাবে কমলালেবুর খোসা ত্বকের মৃত কোষকে সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এক টেবিল চামচ টক দই কমলালেবুর খোসার গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে গোটা মুখে মেখে নিন। ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন উজ্জীবিত লাগবে ত্বক।
