আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ বেশিরভাগ মানুষই স্ট্রেসজনিত সমস্যায় ভুগছেন। রাতে ঘুম কম হওয়া , অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস সব মিলিয়ে প্রায় প্রত্যেকের অনেক রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হাইপার টেনশন, সুগার, প্রেশার বেড়েছে সব রকম সমস্যাই। আর তাই মন শান্ত রাখার জন্য সব বয়সের মানুষকেই নিয়মিত কিছু এক্সসারসাইজ করতেই হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল ব্রিদিং এক্সসারসাইজ।

প্রাচীন ভারতীয় সময় থেকে প্রাণায়াম অনুশীলন করার চল রয়েছে। যোগ ব্যায়ামের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এই ব্যয়াম নানা ধরণের শারীরিক জটিলতা কাটিয়ে সুস্থ রাখতে পারে। শরীর ও মনের ভারসাম্য বজায় রেখে উভয়কেই সতেজ ও সুস্থ রাখে। শ্বাসযন্ত্রকে শক্তিশালী করে শ্বাস-প্রশ্বাসকে গভীর ও নিয়ন্ত্রিত করে। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। অ্যাজমা বা ব্রঙ্কাইটিস রোগীদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যায়াম।

মনকে শান্ত করতে এই ব্যায়ামের তুলনা নেই। প্রাণায়াম প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রের কাজকে সক্রিয় করে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগকে কমাতে সাহায্য করে।শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রিত ও সুস্থ হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়, স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী হয়, যে কোনোও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানসিক দৃঢ়তা তৈরি করে।

প্রাণায়াম করার সময় গভীর শ্বাসের ব্যায়াম হজমে সাহায্য করে। মেটাবোলিজমকে বৃদ্ধি করে, পেট ফাঁপা কমায় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স থেকে রেহাই দেয়। 

প্রাণায়ামের নিয়মিত অভ্যাস স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। মনকে শান্ত করে হার্ট রেট ও ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন সরবরাহ বেড়ে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্মূলের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়। 

শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ হলে মানসিক উদ্বেগ কমে ফলে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা থাকে না, কোলেস্টেরল লেভেল কমাতেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
থাইরয়েড বা পিসিওএস এর মতো হরমোনাল ভারসাম্যহীনতাকে দূর করে এই ব্যায়াম। 

প্রাণায়াম বা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যয়াম নিয়মিত অভ্যেস করলে যেমন শরীরের অনেক সমস্যা দূর করা সম্ভব, তেমনই মনের জোরও বাড়ে এর ফলে। নিয়মিত প্রাণায়াম অভ্যেস করলে অবসাদ কেটে গিয়ে মনে নতুন উত্‍সাহের সঞ্চার ঘটে।