আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতের সবজিতে বাজার ভরে গেছে। লাল সাদা মুলো এই মরসুমের অন্যতম সবজি তাই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে মুলোর পদ রান্না হলে সাধারণত এর পাতাকে ফেলে দেওয়া হয়। এই মুলোর শাকের রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যকর উপাদান, জানলে আর ফেলে দেবেন না।
ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর থাকে মুলো শাকে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। শাকের সবুজ অংশ রক্তের শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের জন্য খুবই ভাল এই শাক। এতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
মুলোশাকে পুষ্টিগুণ ভরপুর থাকে। যা আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই খাদ্য তালিকায় এই শাক অবশ্যই রাখতে পারেন। শরীরের হজম ক্ষমতায় বড়সড় সাহায্য করে মুলোর শাক। তবে রাতে এই খাবার এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
তবে বাজার থেকে আনার পর রান্নার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখবেন। মুলোতে লেগে থাকতে পারে ক্যামিক্যাল রঙ এবং ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ফার্টিলাইজার। কৃত্রিম সার অনেক সময়ই ক্ষতি করে শরীরের। তাই কাটার আগে গরম বা ঠাণ্ডা জলে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। জল ফেলে দিয়ে কেটে রান্নার জন্য ব্যবহার করুন।
মুলোর পাতায় ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে, যা লো ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও অব্যর্থ এই পাতা।
মুলোর পাতায় রয়েছে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ, সি, বি৯, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং কার্বোহাইড্রেট। এটি পাইলস, হার্ট ডিজিজে খুব উপকারী। ভিটামিন সি ও আয়রন থাকার কারণে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। শীতকালীন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মুলো শাক রাখুন আপনার পাতে।
বর্তমানে অনেকে ভুলভাল খাদ্যাভ্যাসের কারণে বিভিন্ন অসুখে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়া তার মধ্যে একটি। মুলো শাকে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন। এই শাক রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে। তাই নিয়মিত মুলো শাক খেলে অ্যানিমিয়ার ভয় থাকে না।
