আজকাল ওয়েবডেস্কঃ রুক্ষ্ম-শুষ্ক হয়ে যাওয়া চুলে ডিম মাখার কথা মাথায় এলেই প্রথম যে কথা মাথায় আসে তা হল ডিমের সাদা অংশ না কুসুম মাথায় দেবেন! ডিম প্রোটিনে সমৃদ্ধ, তবে ডিমের সাদা অংশে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের সঙ্গে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। চুলের বৃদ্ধির জন্য এই সবই অপরিহার্য। তবে সাদা অংশ ভালো মানেই কুসুম খারাপ এমন নয়। ডিমের কুসুমও প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং এছাড়াও পাবেন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন এবং ফলিক অ্যাসিড যা চুল বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই উভয় অংশই ভালো, তবে খাদ্যতালিকায় সাদা এবং চুলের প্যাকে কুসুম পছন্দ করা হয়।
শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে ডিমের কুসুম ব্যবহার করতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। তারপর কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন চুলে। যদি মনে হয় চুল ধোওয়ার পর গন্ধ আসছে তাহলে ডিমের কুসুমের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। ২-৩টি ডিমের কুসুম নিয়ে তার সঙ্গে মধু মেশান। চুল এবং স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়া অবধি। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একদিন অন্তত এটা করার চেষ্টা করুন। তাছাড়া ডিমের কুসুমের সঙ্গে নিম অয়েল মিশিয়ে লাগান। যাদের স্ক্যাল্পে চুলকুনির সমস্যা আছে, তাঁদের জন্যও এই মাস্ক উপকারি।
যাঁদের ড্রাই স্কিনের সমস্যা রয়েছে তাঁরা ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে গোটা মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। আপনার ত্বক তেলতেলে হয় তবে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকে অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবের সমস্যা কেটে যায়।
