আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোটা বিশ্বেই রূপচর্চার জন্য এখন প্রবল জনপ্রিয় দক্ষিন কোরিয়ার বিভিন্ন প্রসাধনী। ত্বককে সজীব করে তুলতে এই সব প্রসাধনীতে নানান রকমের অচিরাচরিত পদার্থ ব্যবহার করে থাকেন সেদেশের প্রসাধন সামগ্রী নির্মাতা সংস্থাগুলি। কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, কিছু প্রসাধনীতে নাকি ব্যবহৃত হচ্ছে ভেড়ার অমরা, শামুকের লালা, মৌমাছির বিষের মতো পদার্থ। এই বার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি অদ্ভুত উপাদান- শুক্রাণু!


এই রূপচর্চার পদ্ধতিকে বলা হয়, ‘রিজুরান স্কিনবুস্টার’। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিতে একটি বিশেষ উপাদান ব্যবহার করা হয়- পিডিআরএন। বিজ্ঞানের ভাষায় এই পিডিআরএনের পুরো নাম ‘পলিডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিওটাইড’। কেমব্রিজ মেডিক্যাল গ্রুপের মেডিক্যাল ডিরেক্টর শার্লি কিউই জানিয়েছেন, এই বিশেষ উপাদান স্যামন বা ট্রাউট মাছের শুক্রাণু থেকে সংগ্রহ করা হয়। তার পর উপাদানটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেসিয়াল ও অন্যান্য ক্রিমে মেশানো হয়। আর তাতেই ম্যাজিক। এই উপাদান ত্বকের ভিতরে গিয়ে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। বাড়িয়ে দেয় কোলাজেন প্রোটিনের উৎপাদনও। ফলে দ্রুত উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ত্বক।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন জানিয়েছিলেন এই ধরনের ক্রিম ব্যবহারের কথা। অভিনেত্রী জানান, এই ক্রিম ব্যবহার করে ৫৫ বছর বয়সে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে তাঁর ত্বক। বিজ্ঞানী শার্লি কিউই জানাচ্ছেন, জেনিফারের দাবি খুব একটা অসত্য নয়। কারণ পিডিআরএন অনেকটাই মানুষের ডিএনএ-এর অনুরূপ। তাই ত্বকের কোষ গঠন করতে এই জিনগত উপাদান খুবই সাহায্য করে। তাই প্রচুর নতুন কোষ তৈরি হয় ত্বকে। টানটান থাকে মুখ।