আজকাল ওয়েব ডেস্কঃবর্তমান এই ব্যস্ত সময়ে প্রত্যেকের জীবনের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে সবার হাতের মুঠোফোনটি। অনেকের কাছে আবার একের বেশিও ফোন থাকে।একের অধিক ফোনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে গিয়ে এই যান্ত্রিকতার যুগে মানুষও যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির মধ্যে অস্বাভাবিকতা নেই। তবে সাতসকালে একেবারে ঘুম চোখে ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। সকালে নেট অন করলেই একে একে ওয়াটসঅ্যাপ্, ইনস্টাগ্রাম, অফিসিয়াল মেল থেকে শুরু করে ফেসবুকে পরিচিত মুখের নানা কার্যকলাপ আপনাকে বিচলিত করে দেয়।এটির প্রভাব আপনার দিনভরের রুটিনে পড়ে।অশান্ত মন নিয়ে কখনই একটি গোটা দিন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা যায় না।

ফোনের নীল আলো আপনার চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া রশ্মি চোখের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।যার কারণে মেটাবলিজম বৃদ্ধি খুব ধীরে হয় সঙ্গে হতে পারে প্রবল মাথাব্যথাও।
এই অভ্যাসে মস্তিষ্কে স্ট্রেস হরমোন বেশি পরিমাণে তৈরি হয়। সকালে উঠেই মাথায় দানা বাঁধতে পারে দুশ্চিন্তা। তারপর সেই স্ট্রেসকে সঙ্গী করেই সারাদিন কাটাতে হবে। 

মোবাইলে ঘুম চোখ রাখলে শরীরের প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন বের হয়। তারপর গোটা দিন মোবাইল ব্যবহার করলে এই হরমোন আরও বেশি পরিমাণে নির্গত হয়।শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে ঘুম আসতে চায় না। তাই শান্তির ঘুম চাইলে আজ থেকে সকালে উঠে মোবাইল ব্যবহার কমান।

যারা উদ্বেগের সমস্যায় ভুগছেন, যাদের ইনসমনিয়া, ঘাড় ও হাতের যন্ত্রণা আছে, তাদের সকলের বিছানায় শুয়ে ফোন দেখার একটা খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। ঘুমোতে যাওয়ার ১ ঘন্টা আগে ও ঘুম থেকে উঠে ১ ঘন্টা কোনভাবেই ফোনটি নিজের কাছে রাখবেন না।এতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে এবং নিশ্চিন্তে ঘুম আসবে।
সকালে উঠে নির্দিষ্ট কিছু মেডিটেশন করা খুবই জরুরী।এতে শরীর ও মন শান্ত হয়।কাজে মন বসে। সারাদিন আপনি থাকবেন চনমনে।
খুব সমস্যা না থাকলে রাতে ফোনটি বন্ধ করে রাখতে পারেন। সকালে উঠে পরিষ্কার হয়ে, ধীরে সুস্থে তার পরে ফোন ধরুন। এতে আপনার শরীর এবং মন দুই সুস্থ থাকবে।