জ্যোতিষের গণনা অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্র গ্রহ পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্রে গোচর করবে। ভাল দিক হল, এই নক্ষত্রের অধিপতি স্বয়ং শুক্র গ্রহই। ফলে ধন, ভোগবিলাস ও প্রেমের কারক শুক্র যখন নিজেরই নক্ষত্রে প্রবেশ করে, তখন তা অপার ধনসম্পদের বর্ষণ ঘটায়।
শুক্র গ্রহ যখন নিজের রাশি বা নিজস্ব নক্ষত্রে প্রবেশ করে, তখন তার প্রভাব আরও প্রবল হয়ে ওঠে এবং অত্যন্ত শুভ ফল প্রদান করে। এই সময় শুক্রর পূর্বা
ফাল্গুনীতে অবস্থান কিছু রাশির জাতকদের জীবনে ধন, ঐশ্বর্য, প্রেম, আনন্দ ও রোমান্সের প্রাচুর্য এনে দেবে।
বৃষ রাশি
বৃষ রাশির অধিপতি গ্রহ হল শুক্র, তাই এই রাশিতে শুক্রের শুভ প্রভাব সর্বদা বিরাজমান থাকে। শুক্রর এই নক্ষত্রগমন জাতকদের জীবনে প্রেম বাড়িয়ে দেবে। প্রচুর ধন-সম্পদ ও ঐশ্বর্য আসবে। বিনিয়োগে লাভ হবে। সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
মিথুন রাশি
মিথুন রাশির জাতকদের জন্য শুক্রর এই নক্ষত্রগমন অত্যন্ত লাভদায়ক হবে। বিশেষ করে যারা যোগাযোগ, মিডিয়া ও গ্ল্যামার জগতের সঙ্গে যুক্ত, তারা বড় সাফল্য পেতে পারেন। অর্থের সঙ্গে জনপ্রিয়তাও বাড়বে। সম্পর্কগুলিতে মাধুর্য আসবে।
তুলা রাশি
শুক্রর পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্রে প্রবেশ তুলা রাশির জাতকদের জন্য বিরাট সুফল বয়ে আনবে। তুলা রাশির অধিপতি-গ্রহও শুক্র। ধনলাভ হবে, মান-সম্মান বাড়বে। প্রেমের সম্পর্কে মাধুর্য বৃদ্ধি পাবে। নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে এবং সেগুলি থেকে উপকার আসবে।
মীন রাশি
মীন রাশির জাতকদের জন্য শুক্রর এই নক্ষত্র পরিবর্তন শুভ ফল দেবে। জীবনে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি ঝোঁকও বাড়বে। সঙ্গীত, শিল্প ও সৃজনশীলতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য সময় বিশেষ শুভ। প্রেমজীবন ও বিবাহিত জীবন সুন্দরভাবে কাটবে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে শুক্র হল ধন, ভোগবিলাস, প্রেম, সৌন্দর্য এবং শিল্পকলার অধিপতি। ফলে যখন শুক্র নিজস্ব নক্ষত্রে প্রবেশ করে, তখন তার শক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি, অর্থলাভ, বিলাসী জীবনযাপনের সুযোগ এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা আসতে পারে। বিশেষত যারা শিল্প, অভিনয়, সঙ্গীত বা ফ্যাশনের সঙ্গে যুক্ত, তাদের জন্য এই সময়কে অত্যন্ত শুভ ধরা হয়। শুক্রের প্রভাবে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কের দৃঢ়তা এবং নতুন রোমান্টিক সূচনা সম্ভব। একইসঙ্গে ধনসম্পদের বর্ষণ বা হঠাৎ অর্থাগমের সম্ভাবনাও জাগ্রত হয়। সার্বিকভাবে বলা যায়, শুক্র যখন নিজের নক্ষত্র পূর্বফাল্গুনীতে গমন করে, তখন জীবনে আনন্দ, প্রাচুর্য ও সৃজনশীলতার দ্বার উন্মোচিত হয়।
