আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ঘুমের ঘোরে অনেকেই সশব্দে নাক ডাকেন। সঙ্গীর নাক ডাকার গর্জনে অনেকরই ঘুমের বারোটা বাজে। কেউ ব্যাপারটা স্বীকার করে নেন, কেউ আবার বেমালুম অস্বীকার করে যান গোটা বিষয়টি! চিকিৎসকদের মতে, শরীরচর্চার প্রতি অনীহা, জীবনযাপনে অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার প্রবণতা ঘুমের ঘোরে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা ছাড়াও নাক ডাকার অন্য একটি কারণ হল ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’। ৫০ বছর বয়সের আগে কারও সমস্যা নাক ডাকার সমস্যা শুরু হলে বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। অনেকেই মনে করেন, নাক ডাকা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়, তবে এই উপসর্গকে দিনের পর দিন অবহেলা করলে কিন্তু মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে অজান্তেই। কিছু সাধারণ পরীক্ষা আর সুস্থ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে পারলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

নাকের ভিতরে শ্বাস চলাচলে বাধা পেলে, গলার পিছন দিকে আল-জিভ বা সফ্ট প্যালেটের দিকে টিস্যু ঢিলে হয়ে গেলে ভাইব্রেশনের জন্য, জিভের নীচের অংশ থেকেও শব্দ হতে পারে বা উপরের সবকটি কারণ মিলিয়েও শব্দ তৈরি হতে পারে।

জেনেটিক, এনভায়রনমেন্টাল এবং অ্যানাটমিক্যাল। অনেকে পারিবারিকভাবে নাক ডাকেন। কারণ জিন। কারও ক্ষেত্রে দায়ী অ্যানাটমিক্যাল স্ট্রাকচার। যেমন কারও গলার কাছে ফ্যাট ডিপোজিশন বেশি। ফলে অক্সিজেন প্রবেশের পথ সংকীর্ণ হয়ে যায়। যত বেশি সংকীর্ণ, শ্বাস বন্ধ হওয়ার প্রবণতাও তত বেশি। ‘এনভায়রনমেন্টাল’ কারণ হল ধূমপান, মদ্যপান। অনেকে নর্ম্যালি নাক ডাকেন না, কিন্তু মদ্যপান করলে ডাকেন। অত্যধিক ক্লান্তিও অন্যতম কারণ।

জোরে নাক ডাকছেন যে পাশের জন ঘুমোতেই পারছেন না বা শব্দ ঘরের বাইরে থেকেও শোনা যাচ্ছে বা যে ঘুমের মধ্যে রোগীর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে-তখনই সতর্ক হোন। পলিসমনোগ্রাফিক টেস্ট করান ডাক্তারের পরামর্শমতো। চারটি স্তরে হয়। লেভেল ওয়ান সবচেয়ে অ্যাডভান্সড। ল্যাবরেটরিতে এসে করতে হয়। এতে রোগের কারণ অনেকাংশেই ধরা যায়। এছাড়াও ‘পোর্টেবল ফরম্যাটে’, রোগীর বাড়িতে একটি ছোট যন্ত্র নিয়ে গিয়ে, রাতে রোগীকে লাগিয়ে দেওয়া হয়।

মদ্যপান থেকে দূরে থাকলে তবেই নাক ডাকা থেকে মুক্তি পাবেন আপনি। এমনকি সিগারেট নিয়মিত অভ্যাসে রাখলে হবে অসুবিধা। ফলে নাক ডাকা থেকে মুক্তি পেতে এই দুটি জিনিস থেকে দূরে থাকাই ভালো।

প্রতি রাতে শোবার আগে বিছানা আর বালিশ দুটিই ভাল করে ঝেড়ে নিন। এতেই নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। অনেক সময় ধুলো থেকে অ্যালার্জি হয়ে নাক বন্ধ হলে নাক ডাকার সমস্যা হয়। অ্যালার্জি থাকলেও তার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। রসুন শরীর ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকরী। এক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে নিন রসুন। তারপর সেই জল দিয়ে করা হোক গার্গল। দেখবেন কষ্ট কমে যাবে।