আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন, তবে প্রাতরাশে ওট্সই হতে পারে অন্যতম একটি পছন্দের খাবার।হার্টকে সুস্থ রাখতেও এর তুলনা নেই।এই খাবার অনেকটা সময় পেট ভর্তি রাখে।ওটসে ক্যালোরির মাত্রা অত্যন্ত কম।এছাড়াও ওজন ঝরাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে ওট্সের কোনও জুড়ি নেই।এতে প্রচুর ফাইবার আছে।ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে ওট্স খেলে। দুধের সঙ্গে ওটস খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিস থেকে বাঁচায়।
পুষ্টিগুণ তো প্রচুর।তাই বলে রোজ খেতে একঘেয়েমি লাগতে পারে।তাছাড়া যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে বা দুধ খেতে পছন্দ করেন না তাদের ওটসের পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে এবং মুখোরোচক হবে এমন কিছু পদ তৈরি করতে হবে যাতে পেট ও স্বাস্থ্য দুটোই ঠিক থাকবে।
একটি কাচের জারে হাফ কাপ ওটস, এক চামচ চিয়া সিড, একটা কলা, এক চামচ মধু একসঙ্গে দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে দিন।কলা ও বেরি জাতীয় ফল উপর থেকে সাজিয়ে নিতে পারেন।ঢাকা দিয়ে সারারাত ফ্রিজে রাখুন।পরেরদিন সকালে ব্রেকফাস্টে ঠান্ডা ঠান্ডা উপভোগ করুন।
কুকিজ খেতে কম-বেশি সকলেই ভালবাসেন।চায়ের সঙ্গে নানা স্বাদের কুকিজ খেতেও মন্দ লাগে না।চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন ওটসের কুকিজ। মিক্সারে ১১০ গ্রাম মাখন, আধ কাপ গুঁড়ো সুগার, ১টি কলা, ১/৪ কাপ ময়দা, ১ চামচ দারচিনি, ১চ চামচ বেকিং সোডা এবং দেড় কাপ ওট্স মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি থেকে কুকিজের আকারে গড়ে মাইক্রোওয়েভ অভেনে ৮-১০ মিনিট বেক করে নিলেই তৈরি ওট্সের কুকিজ।
একটি সসপ্যানে সবজির স্টক তৈরি করুন।এক কাপ ওটস দিন। পাঁচ মিনিট ফোটাতে হবে।ঘন ও থকথকে হয়ে এলে ভাল মতো ধুয়ে রাখা পালং শাক দিয়ে দিন। আরও পাঁচ মিনিট রান্না করুন।একটি পাত্রে ঢেলে রাখুন। আলাদা জায়গায় ডিম সেদ্ধ করে রাখুন।হাফ করে কেটে ওটসের উপর সাজিয়ে নিন। স্বাদমতো নুন, গোলমরিচগুঁড়ো ও অলিভ অয়েল ছড়িয়ে ব্রেকফাস্ট জমিয়ে হোক।
