আজকাল ওয়েব ডেস্ক: পেশায় তথ্য প্রযুক্তি কর্মী তনয়া মাঝেমাঝেই মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। ২৬ বছরের তরুণী আজকাল সারাদিনই ক্লান্তি অনুভব করেন। আবার বছর ৩৪-এর প্রিয়ক প্রায়ই রোগে ভুগছেন। তাঁর সর্দি-কাশি-জ্বর লেগেই রয়েছে। তনয়ার মতো পেশায় শিক্ষক প্রিয়কও বেশ কিছুদিন এমন চলার পর চিকিৎসকের কাছে যান। পরীক্ষায় ধরা পড়ে, দু’জনের শরীরেই ভিটামিন ডি-এর খাটতি রয়েছে। যার জন্য তাঁরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। তবে শুধু এই ধরনের লক্ষণই নয়, শরীরে ভিটামিন ডি-এর খাটতিতে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। কারণ ভিটামিন ডি শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। তাই ঠিক কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন জেনে নিন।
ক্লান্তি- ভিটামিন ডি-এর খাটতি হলে প্রাথমিকভাবেই শরীরে ক্লান্তি বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও যদি সারাদিন কাজে এনার্জি না পান, তাহলে ভিটামিন ডি পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা-ভিটামিন ডি অভাব হলে বিশেষভাবে পিঠের নিচের দিকে, তলপেটে এবং পায়ে ব্যথা হতে পারে। যদি আপনি অসহ্য জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করেন তা ভিটামিন ডি-এর খাটতিতে হতে পারে।
পেশি দুর্বলতা- ভিটামিন ডি-এর খাটতি হলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন লক্ষণ খেয়াল করে থাকলে ভিটামিন ডি পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
 
  
 
 অবসাদ ও ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন- মেজাজ ঠিক রাখতে ভিটামিন ডি-এর ভূমিকা রয়েছে। শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেলে ঘন ঘন মুড সুইং এবং অবসাদ ঘিরে ধরে। 
বারে বারে অসুস্থ হয়ে যাওয়া- ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। তাই এর খাটতি হলে সর্দি, কাশি সহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ঘন ঘন অসুস্থ হলে তার কারণ ভিটামিন ডি-এর খাটতি হতে পারে।
চুল পড়া- বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে। তবে তার একটি অন্যতম হল ভিটামিন ডি-এর খাটতি। আচমকা চুল পড়া বেড়ে গেলে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন।
হাড় ক্ষয়- ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। যা হাড় ক্ষয় রোধ করে। তাই ভিটামিন ডি-এর খাটতি হাড় ক্ষয়ের সঙ্গে ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি থাকলেও ভিটামিন ডি-এর মাত্রা পরীক্ষা করে নিন।
