আজকাল ওয়েব ডেস্ক: দাগ-ছোপহীন ঝলমলে, জেল্লাদার ত্বক কে না চায়! সেই স্বপ্নপূরণের জন্য কসরতও কম করতে হয় না। আজকাল আবার ব্যস্ততার জীবনে রূপচর্চার জন্য আলাদা করে সময় বের করাও মুশকিল। এদিকে কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। তাই পুজোর মধ্যে ত্বকের হাল ফেরাতে হলে এখন থেকেই জোর দিতে হবে স্কিনকেয়ার রুটিনে। তবে পার্লারে গিয়ে কিংবা বাহারি কোনও রূপচর্চা নয়, পরিচিত ফল দিয়েই ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। 

শরীরের জন্য ফল উপকারী। একথা সকলেরই জানা। শরীর ভাল রাখতে ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তবে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য শুধু ফল নয়, ফলের খোসাও খুবই  কার্যকরী। তাই বাজার চলতি প্রসাধনীর বদলে ফলের খোসা দিয়ে ফেরাতে পারেন ত্বকের জেল্লা। তাহলে ত্বকে কোন কোন ফলের খোসা ব্যবহার করবেন জেনে নিন-

কমলা লেবুর খোসা- কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো খুব ভাল এক্সফলিয়েটরের কাজ করে। তাই কমলা লেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন। এর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে লাগিয়ে নিলে নিমেষে জেল্লা ফিরবে ত্বকে। এছাড়াও কমলা লেবুর খোসা ব্রণ ও দাগছোপ কমাতে সাহায্য করে। ত্বক হয় টানটান ও সতেজ।

কলার খোসা- কলার খোসা মুখের ট্যানিং দূর করে, ত্বক থাকে টানটান। মুখের গর্ত বা বড় হয়ে যাওয়া কোষ নিয়মিত কলার খোসা ঘষলে অনেকটাই মিলিয়ে যায়। কলার খোসাতে ভরে ভরে রয়েছে ভিটামিন এ, বি এবং সি। এই সব ভিটামিনের গুণেই ত্বক হয় ঝলমলে। 

পেপের খোসা- পেঁপে দিয়ে অনেকেই রূপচর্চা করেন। তবে জানেন কি পেঁপের খোসাও রূপচর্চায় খুবই কার্যকরী। পেঁপের খোসা মুখে ঘষে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিলেই উপকার পাবেন। 

আপেলের খোসা- ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ আপেলের খোসা। তাই এটি ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। আপেলের খোসা নিয়মিত ব্যবহার করলেই ত্বকের জেল্লা নজরে আসবে।

কিউয়ির খোসা- কিউয়ির খোসাতেও ভরে ভরে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাই এটি যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমনই ত্বকের হাল ফেরাতে সাহায্য করে। কিউয়ির খোসার পেস্টের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। এতে ত্বকের ঔজ্জল্য বাড়ে।