আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীতকাল মানেই বাজার থেকে একগুচ্ছ ধনেপাতার আগমন বাড়িতে। এটি বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ এনে দেয়। এর অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে।
মাছের ঝোল, ডাল থেকে শুরু করে নিরামিষ তরকারি, সবেতেই তার উপস্থিতি। কিন্তু তার সঙ্গে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই শীতে ধনেপাতার চাটনি দু'বেলা খাওয়ার চল শুরু হয়ে গেছে। অনেকেই জানে স্বাদ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়া ধনেপাতার অন্য প্রচুর উপকারিতা আছে। কিন্তু এই ধনেপাতার সঙ্গে আরও কিছু ভেষজ উপাদান মিশিয়ে দিয়ে চাটনি বানালেই স্বাদের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই চাটনি রোজ খাবারের পাতে রাখলে রক্ত পরিষ্কার করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে। কীভাবে বানাবেন জানুন।
সমপরিমান ধনেপাতা, পুদিনাপাতা ও কারিপাতা ব্লেন্ডারে দিন। সঙ্গে দিন দুটি কাঁচালঙ্কা ও একটি আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে দিন। সামান্য জল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। চাটনির মতো পেষ্ট তৈরি হয়ে যাবে। শীতে রোজ খাবারের পাতে এই চাটনি রাখলে উপকার পাবেন প্রচুর।
ধনেপাতা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় এই পাতা। ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং পটাশিয়াম থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে ধনেপাতা। নিয়মিত ধনেপাতা খেলে ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই ডায়বেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই পাতার চাটনি। শরীরে পুষ্টি জোগাতে ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক এই উপাদানগুলো। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ধনেপাতা। প্রতিদিন ধনেপাতা খেলে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে। ফলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে। দূর করে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যাও। ওজন কমাতে পুদিনার জুড়ি মেলা ভার। ভুঁড়ির মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরি উপায় এই পুদিনা চা। এমনই মনে করেন অনেকে। এটি ভুঁড়ির মেদ কমাতে ও হজম ভালো করতে সাহায্য করে।
