আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সাধারণ ট্যান তুলতে প্যাকগুলো মুখেই ব্যবহার করা হয়। হাত-পা কিংবা শরীরের বাকি অংশের ময়লা ও ট্যান তুলতে সাবান অথবা পার্লারের দামি বডি পলিশিং পেষ্টেই ভরসা করতে হয়। সেই সময় ঘরোয়া টোটকার কথা অনেকে ভুলে যান। অথচ, হাত-পায়েই সবচেয়ে বেশি ট্যান পড়ে। রান্নাঘরে থাকা এইসব সাধারণ উপাদান দিয়ে ত্বকের সর্বত্রই পরিষ্কার ও দুধ সাদা উজ্জ্বল থাকবে এবং ত্বক আগের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই পেষ্ট।
একটি বাটিতে তিন চামচ চালের গুঁড়ো ও হাফ কাপ টক দই দিন। মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে একে একে দু'চামচ মধু, হাফ চামচ করে হলুদগুঁড়ো ও বেকিং সোডা দিন। আরও একটু নেড়ে এক চামচ নারকেল তেল ও অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে দিন। এবার সমস্ত উপকরণগুলো ভাল মতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন সাবানের বদলে এই পেষ্ট মুখ ও শরীরের সব কালো ও ট্যান পড়ে যাওয়া জায়গায় লাগিয়ে রাখুন আধঘন্টা। শুকিয়ে গেলে খুব ভাল করে রগড়ে স্ক্রাব করে নিন। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। একমাসেই আপনি নিজের ত্বকের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
চালের গুঁড়ো প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ আপনি যদি নিয়মিত চালের গুঁড়ো মুখে লাগান, তাহলে ত্বকের মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে ত্বকের ভিতরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। অক্সিজেন সরবরাহও পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। তাই সাময়িক ভাবে জেল্লা বৃদ্ধি হয়। মধুতে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ মধু আমাদের ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে। তাই রুটিনে এটি রাখতেই পারেন।নারকেল তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। এটি ত্বকে কোলাজেন উৎপন্ন করে এবং ত্বকের জৌলুস ধরে রাখে। নিয়মিত মুখে নারকেল তেল মালিশ করলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত হয় এবং ঝুলে যাওয়া চামড়া টানটান হয়ে ওঠে।
