আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ওজন কমানো নিয়ে বিস্তর আলোচনা, পরামর্শ,উপদেশ সব জায়গায় করা হয়। হবে না কেন,ওজন বেশি মানেই তো শরীরে রোগবালাইয়ের আস্তানা হবার আশঙ্কা থাকে।তাই প্রায় সবার একটাই চাওয়া ওজন কিভাবে কমবে। বাড়ির বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়ানো মানেই তো ঝক্কি। ফলে পুষ্টি থেকে যায় অধরাই।
কিন্তু ওজন কী ভাবে বাড়ানো যায় এই বিষয়ে কেও কখনও ভেবে দেখেছি কি? বকাঝকা করে কতটাই বা পুষ্টি জোগাবেন। ওজন অতিরিক্ত কম থাকলে কি কি সমস্যার সন্মুখীন হতে হয় সেটাও যথেষ্ট ভেবে দেখার বিষয়। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ অতিরিক্ত ওজনের শিকার। তবে এমন অনক মানুষ আছেন যারা ওজন হ্রাসের সমস্যায় ভোগেন। শিশুরা ছোট থেকে এমন সমস্যার শিকার হলে পরবর্তীতে অনেক রোগ আক্রমণ করতে পারে। ওজন বাড়লে যেমন হাসির খোরাক হয়ে যায় তেমনই সন্তানের ওজন কম হলেও নানা দুঃশ্চিন্তা ভিড় করে অভিভাবকদের মনে। শুনতে হয় খেতে না পাওয়ার খোঁটাও। সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় ছেলে-মেয়ে সকলকেই।কি খেলে ওজন বাড়বে তরতরিয়ে, সেই খোঁজে ভ্রান্ত হয়ে পড়ে রোগা মানুষেরা। শরীরের ওজনকে বাড়তে দিতে চাইলে সকালের ব্রেকফাস্ট হতে হবে জম্পেশ।রইল তারই রেসিপি। ঘরে তৈরি এই লাড্ডুতেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে।
এক কাপ মাখানা ও ভাজা ছোলা, হাফ কাপ করে আমন্ড বাদাম, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম ও সুর্যমুখী ফুলের বীজকে হালকা রোস্ট করুন। ঠান্ডা হলে ব্লেন্ড করে নিন। কড়াইতে দেশী ঘি দিন এক চামচ। গরম হলে ব্লেন্ড করা বাদামের গুঁড়ো দিয়ে দিন। ভাল মতো মিশিয়ে গরম গরম লাড্ডুর আকারে তৈরি করে নিন। রোজ ব্রেকফাস্টে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে একটি এই প্রোটিন লাড্ডু খেলেই শরীর হবে তরতাজা ও ওজন বাড়বে তরতরিয়ে।
মাখানা এবং চিনেবাদাম দুটোই পুষ্টিগুণে ঠাসা। নানা শারীরিক উপকারিতার কাজে লাগে এই দু’টি স্ন্যাক্স। ক্যালোরি পরিমাপের দিক থেকে মাখানা বেশি উপকারী। কারণ চিনেবাদামের তুলনায় মাখানায় ক্যালোরি বেশি। মাখানা লো ক্যালোরি স্ন্যাক্সের মধ্যে অন্যতম। যে কোনও বাদাম অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এই খাবার নিয়মিত খেলে শরীরের বহু উপকার হয়। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, বাদামে বেশ কিছুটা ফ্যাট রয়েছে। বিশেষত, চিনে বাদাম এবং কাজু বাদামে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। তাই এই ধরনের বাদাম অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তে পারে। তবে কেউ যদি নিয়ম মেনে এ সব নাটস খান, তাতে শরীরের হাল ফিরবে। তাই ওজন বাড়ার ভয়ে বাদামের থেকে দূরত্ব তৈরি করার কোনও অর্থ নেই।
