আজকাল ওয়েবডেস্কঃ চোখে মুখে বয়সের ছাপ! ত্বক কুঁচকে গিয়ে চোখের দুপাশে বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে? তবে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। ত্বকের অকাল বার্ধক্য বা বার্ধক্যের ছাপ ফুটে ওঠার অর্থ ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া। অযত্ন, দূষণ ও রোদের প্রকোপে ত্বকের বারোটা বেজে যায়। ত্বকের জৌলুস তো হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে মুখে প্রকট হয়ে উঠতে পারে বার্ধক্যের ছাপও। আর কারও ত্বকে যদি ৩০ বছরেই বলিরেখা দেখা দেয়, তাহলে তো সেই নিয়ে চিন্তা হবেই!
প্রিম্যাচিওর স্কিন এজিং কিংবা ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে না পারলে কোলাজেনের উৎপাদন কমতে শুরু করে। ফলে ত্বকের টানটান ভাব নষ্ট হয়। এমনকী ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যও হারিয়ে যায়। এই ঘরোয়া ক্রিম তৈরি করে মাখতে শুরু করলে আপনার ত্বক অকাল বার্ধক্য রোধ করে ও মুখের বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই ক্রিম। 

দুটো গাজরের খোসা ছাড়িয়ে নিন। কুড়িয়ে নিয়ে একটি আলাদা পাত্রে পরিষ্কার সুতির নরম কাপড় দিয়ে কোরানো নারকেল দিন। ভাল মতো নিংড়ে গাজরের রস বের করে নিন। এই রসে এবার এক চামচ করে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল ও ভেসলিন দিন। একটি বড় বাটিতে জল গরম করতে দিন। মিশ্রণের বাটি ওই গরম জলে বসিয়ে দিন। ভেসলিন গলে সম্পূর্ণ উপকরণগুলো মিশিয়ে গেলে  নামিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে এতে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে দিন। থকথকে জেলির মতো ক্রিম আকারের হয়ে এলেই একটি ছোট কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। এটি ক্রিম সাতদিন পর্যন্ত রাখা যায়।

গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি, যা ত্বকের জন্য ভীষন গুরুত্বপূর্ণ। এই উপাদান ত্বকে কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও টানটান। অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে  ভিটামিন, এনজাইম, মিনারেল, সুগার, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। ভিটামিন এ, সি এবং ও আছে এই অ্যালোভেরা জেলে। যা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টসের ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ভিটামিন বি ১২ , ফলিক অ্যাসিড এবং কোলাইন ত্বকে সহজেই বলিরেখা পড়তে দেয় না। আমন্ড অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে,  যা আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বককে আর্দ্র রাখে। এটি হালকা হওয়ায় সহজেই ত্বকের ভিতর মিশে যায়।