আজকাল ওয়েবডেস্কঃ রোজকার দৌড়ঝাঁপের মধ্যে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই নিয়মিত ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে পারি না। এর ফলে ত্বকে ভিড় করে নানা সমস্যা। যত্নের অভাবে ত্বকের আভা হয়ত অনেক আগেই হারিয়ে যায়। উল্টে ঘাম, ধুলো-বালি দূষণের কারণে ত্বকে বাড়ছে  অ্যাকনে ও বলিরেখার দাপট। আর সঠিক সময়ে অ্যাকনে থেকে মুক্তি না পেলে  শীতে পার্টি, পিকনিক ও উৎসবের মরসুম কাটাতে হবে মুখ ভর্তি দাগছোপ নিয়েই। তাই ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে পাওয়ার এই সস্তা ও সহজ ঘরোয়া টোটকা এখানে জানানো হল। এই টোটকা সপ্তাহে কমপক্ষে চারদিন ব্যবহার করতে পারলেই ত্বকের পুরনো দাগ ,অ্যাকনে, বলিরেখা দূর হবে নিমেষেই। পার্লারে গিয়ে একগাদা টাকা খরচ করারও প্রয়োজন পড়বে না। জেনে নিন সেই উপায়।

একটি মাঝারি সাইজের পাথরের টুকরো বা পাথরের মতো শক্ত কিছু জিনিস নিন। এর উপর এক চামচ মধু নিন। এতে দিন এক চামচ গোলাপ জল। মিশিয়ে নিন। একটি মাঝারি বা ছোট আকারের ফিটকিরি নিন। এই ফিটকিরিকে ওই মধু ও গোলাপজলের মিশ্রণে ঘষতে থাকুন। ঘষতে ঘষতে সম্পূর্ণ ফিটকিরিটি শেষ হয়ে গেলে মিশ্রণটি একটি প্রাকৃতিক সিরামের মতো তৈরি হবে। সমস্ত উপকরণগুলো ভাল মতো মিশিয়ে নিন। মুখের সব দাগ, বলিরেখা, অ্যাকনে ও ডার্ক সার্কেলের জায়গায় নিশ্চিন্তে লাগিয়ে রাখুন এই সিরাম আধঘন্টা। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের এই সমস্ত জেদি দাগ অচিরেই দূর হতে বাধ্য। 

দাড়ি কাটার পর দু’গালে ফিটকিরি মাখার চল অনেক পুরনো। তবে শুধু অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানের জন্য নয়, রূপচর্চাতেও সমান গুরুত্বপূর্ণ এই ফিটকিরি। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও সালফেট। প্রদাহনাশক এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে এই  উপাদান সেরা। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে দারুণ কাজ করে। মুখের সমস্ত বলিরেখা, ডার্ক সার্কেল দূর করতে অব্যর্থ এই ক্রিম। 
নিয়মিত ফিটকিরি ব্যবহার করলে ত্বকের মরা কোষ দূর হয়। ত্বকের উপর জমা মৃত কোষ সরিয়ে হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে। সেবাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমতা রাখতেও সাহায্য করে। ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস-এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই উপাদান। মধুতে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ মধু আমাদের ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে।