আজকাল ওয়েবডেস্কঃ পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজকেই বলা হয় ‘পিসিওডি’। ‘পিসিওএস’-এর পুরো কথা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম। পিসিওডি এবং পিসিওএস দুই ক্ষেত্রেই সমস্যাটি হরমোনের তারতম্যের জন্যই ঘটে। সাধারণত একটি বয়স অতিক্রম করার পর সব মেয়েরই ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসেই ডিম নির্গত হয়। নিষেক না ঘটলে সেই ডিম দেহ থেকে বার হয়ে যায় রক্তের মাধ্যমে। ফলে কখনও অপরিণত ডিম, কখনও বা আংশিক সম্পূর্ণ ডিমে ভরে যায় ডিম্বাশয়। এই অপরিণত ডিমগুলো দেহ থেকে বার হতেও পারে না। এক সময় সেই ডিমগুলোই জমে সিস্টের আকার নেয়। এর ফলে শরীরে নানা জটিলতা আসে। সঙ্গে ওভারিতে জায়গা কম থাকায় প্রজননেও নানা সমস্যা হয়। তবে পিসিওডি-র বেলায় ওজন বৃদ্ধি বা প্রজননের সমস্যাও হয়। কিন্তু এই সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা একেবারেই উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ ও ওষুধ খাওয়া বাঞ্ছনীয় হলেও ঘরোয়া টোটকায় এই সমস্যা সেরে উঠতে পারে। তবে জেনে নিন কীভাবে বানাবেন সেই পানীয়।

একটি কাচের গ্লাসে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, হাফ চামচ গোলমরিচগুঁড়ো দিন। সঙ্গে এক চিমটি হলুদগুঁড়োও দিতে হবে। উষ্ণ গরম জল ঢেলে দিন। ভাল মতো মিশিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। ব্রেকফাস্ট ও ডিনারের আধঘন্টা আগে এই পানীয় খেয়ে নিন।

এই পানীয় শুধুমাত্র পিসিওডি নয়, রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ইনসুলিনের ভারসাম্যও বজায় রাখতে সাহায্য করে। মেটাবলিজমকে শক্তিশালী করে পেটের মেদকে দ্রুত ঝরাতেও অব্যর্থ এই পানীয়। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার কখনই সরাসরি খাবেন না। জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা। তার ফলে হার্টের সমস্যা হয় না। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমবে। ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে ওজন বেশি, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ন্ত্রণ এই অসুখ ডেকে আনে। এন্ড্রোমেট্রিওসিস, গর্ভধারণের সময় নানা হরমোনজনিত সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া থেকেও এই অসুখ দানা বাঁধে।