আজকাল ওয়েব ডেস্ক: নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর মহিলাদের ঋতুবন্ধ হয়ে যাওয়াই প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী স্বাভাবিক। বছর ৪০ থেকে ৪৫-এর পর থেকেই মহিলাদের শরীরে একটু একটু করে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। এই সময় কেউ একটু বেশিই খিটখিটে হয়ে পড়েন, কারও আবার আচমকাই ওজন বেড়ে যায়। অনেকের আবার হাড়ের ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দেয়। এই সব কিছুই কিন্তু ঋতুবন্ধের উপসর্গ। এই সময়ে শরীরে হরমোনের এত রকম পরিবর্তনও ঘটে যে তার সঙ্গে মনও তাল মিলিয়ে উঠতে পারে না। আচমকাই শরীরে এমন বদল ঘটলে অসুবিধে হওয়ারই কথা। কিন্তু শরীরে বা মনে আসা এই বদল ঋতুবন্ধ হওয়ার পূর্বাভাস। হরমোনের নানা রকম পরিবর্তন ঘটতে থাকে তাই ঋতুবন্ধ হওয়ার বছর খানেক আগে থেকেই অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ঋতুস্রাব বন্ধ থাকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ইস্ট্রোজেন উৎপাদনের হারও কমতে থাকে যে তার প্রভাবে গোপনাঙ্গ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে স্বাভাবিক ‘লুব্রিকেশন’-এর অভাবে মিলনেও সমস্যা দেখা দেয়। যৌনাঙ্গের দেওয়ালের টিস্যু পাতলা হয়ে গেলে ত্বকে অস্বস্তি, জ্বালা বা চুলকানির মতো উপসর্গ দেখা যায়।
এই ধরণের সমস্যায় অতি অবশ্যই দেরি না করে গাইনো ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। তবে ঘরোয়া উপায়ে সমাধানের রাস্তাও কিন্তু রয়েছে। জেনে নিন কেমন ভাবে।
নানা ধরণের বীজের রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ। যার সাহায্যে আপনার মেনোপজের সমস্যার সমাধান হতে পারে।
একটি ফ্রাইপ্যানে হাফ কাপ করে সব ধরণের বীজ অর্থাৎ সেসামে সিড, সূর্যমুখী গাছের বীজ, মৌড়ি ও কুমড়োর বীজ দিন। পাঁচ মিনিট অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। হালকা ভাজার সুগন্ধ বেরোলে এক কাপ ফ্ল্যাক্স সিডের গুঁড়োর পাউডার দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন হাফ কাপ নারকেল কোরা। আরও পাঁচ মিনিট শুকনো খোলায় ভেজে নিন। ঠান্ডা হলে একটি এয়ারটাইট কন্টেনারে ঢেলে রাখুন।
আপনি অনেকভাবে এই বীজের পাউডারকে খাওয়ার সময় ব্যবহার করতে পারেন। রুটি তৈরির জন্য আটা মাখার সময় এক চামচ দিন অথবা জিম করে হালকা খিদে মেটাতে ছোট স্ন্যাকস হিসেবে খান। বিকেলে চায়ের সঙ্গে এক বাটি ছোলা মাখা বা স্যালাডের উপর ছড়িয়ে দিন। ডাল বা দুধ খেলে তাতেও ছড়িয়ে দিতে পারেন এই ম্যাজিকাল পাউডার।
সেসামে সিড প্রোজেস্টেরন হরমোন তৈরি বৃদ্ধি করে ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। মৌড়ি শরীর ঠান্ডা করে, জ্বালাভাব কমায়, এস্ট্রোজেন লেভেল বৃদ্ধি করে ও মুড সুইং কমাতে সাহায্য করে। সূর্যমুখী বীজে পাওয়া ভিটামিন ই এবং ফোলেট ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মহিলা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফ্ল্যাক্স সিড সময় হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে মূলত যা শরীরে ফাইটোয়েস্ট্রোজেন হিসেবে কাজ করে। ফাইটোয়েস্ট্রোজেনগুলি ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধি করে, গরম অনুভব,রাতে ঘুমের মধ্যে ঘাম এবং মুড সুইংএর মতো লক্ষণগুলি উপশম করতে সাহায্য করে।
