আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সুস্থ-সবল কর্মমুখর জীবন কাটাতে চাইলে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার ডায়েটে থাকা চাই। না হলে শরীর নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারবে না। ঘিরে ধরবে একাধিক শারীরিক সমস্যা। মুশকিল হল, আমাদের মধ্যে অনেকেরই খাবারের প্রতি তীব্র অনীহা রয়েছে। এই কারণেই পিছু নিচ্ছে অপুষ্টির মতো সমস্যা। আর একবার এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এমনকী তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তাই সকলের প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। কিন্তু সামনে খাবার থাকলেও খিদে কম হওয়া বা হজমের গোলমাল রোজের ঘটনা। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়েও কোনও লাভ হয়নি। তখন ভরসা করতে পারেন শুধুমাত্র ঘরোয়া টোটকায়। রান্নাঘরের এই কয়েকটি মশলাই দেবে এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি। জেনে নিন কীভাবে।
এক কাপ সমান পরিমাণে মৌরি, জোয়ান ও জিরে নিন। প্যানে শুকনো খোলায় ভেজে নিন অল্প আঁচে। সঙ্গে এক চামচ করে বিট নুন ও হিং মিশিয়ে দিন। একটু নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ব্লেন্ড করে গুঁড়ো করে নিন। সারাদিনে যে কোনও একবার খাওয়ার আধঘন্টা পর হালকা গরম জলে এই পাউডার মিশিয়ে খেয়ে নিন। মুখের ভিতরের দূর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে এই মিশ্রণ। আপনার হজম ক্ষমতা বাড়বে খুব তাড়াতাড়ি।
জোয়ানের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। আর রয়েছে প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আরাম দেয়। গ্যাস-অম্বল তো বটেই, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথার সমস্যা দূর করতেও ফাইবার এবং ল্যাক্সেটিভস সমৃদ্ধ জোয়ান সহায়ক হতে পারে।এছাড়া গ্যাস, অ্যাসিডিটি সহ একাধিক পেটের সমস্যায় মহৌষধির সমান কাজ করে মৌরি।
জিরে বিপাকের হার বাড়ায়। দেহের বাড়তি চর্বি অক্সিডাইজেশনের মাধ্যেমে শক্তিতে পরিণত করে। হজমে সহায়তা করে। ফলে দ্রুত কমতে থাকে ওজন। ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই জিরে ভেজানো জল। জিরেতে আছে কিউমিনালডিহাইড! যা ইনসুলিনের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে সুগার। তাই জিরের জল খেলে সুগারের রোগীরাও ভাল থাকবেন। জিরে ভেজানো জল খেলে শরীরে জমা যত প্রকার টক্সিন রয়েছে, তা দূর হয়ে যায়।
