আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ সাধারণত মুখের কথা বা ব্যবহারই একজন মানুষের চরিত্রের পরিচয় হিসেবে বিবেচিত হয়।কিন্তু পায়ের আঙ্গুলের গঠনও যে কাওকে চিনিয়ে দিতে পারে শুনেছেন কখনো?সবার পায়ের আকৃতি সমান নয়। কারোর পায়ের আঙ্গুলগুলো সব সমান বা কারোর ছোট থেকে বড় নানা আকৃতির।কিছু মানুষের প্রথম দুটি তিনটি আঙুল সমান তো শেষ দুটো এক মাপের।এমন উদাহরণ অনেক আছে।এমন আঙুলের মাপের পার্থক্যের ভিত্তিতে মানুষের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা করা যায় সেই বিষয়ে বিভিন্ন দেশে নানান গবেষণা হয়েছে। পৃথিবীতে যত মানুষ আছেন তাদের পায়ের আঙ্গুল মূলত চার ধরণের হয়।
কিছু মানুষের পায়ের ৫টি আঙ্গুলই সমান হয়।এদের বর্গাকার পা বলা হয়। এইসব মানুষের পায়ের দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন এদের আঙুল বৃদ্ধাঙ্গুলি থেকে কনিষ্ঠাঙ্গুলি সবগুলোই সমান সারিতে থাকে এবং দেখতে বর্গাকার মতো হয়।এই ধরণের পায়ের আঙ্গুলের অধিকারী মানুষেরা অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও উপকারি স্বভাবের হন।ধৈর্যশীল ও বাস্তববাদী হওয়ায় খুব দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।তবে মাঝে মাঝে এর ফলে ফলাফল হিতের বিপরীতও হয়ে যায়।
প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষ মিশরীয় পায়ের অধিকারী।এই ধরণের আঙুলের বৃদ্ধাঙ্গুলি বড় হয় এবং পরের চারটি আঙুল ক্রমাগত ছোট হতে থাকে।এই মিশরীয় পায়ের গঠনের মানুষেরা ভীষণ চাপা স্বভাবের হন ও নিজের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে অপরের দ্বারা কম প্রভাবিত হয়ে থাকেন।অন্যের পরামর্শ নিয়ে মন দিয়ে যুক্তি শুনেও শেষ পর্যন্ত নিজের মনেরটাই করেন। সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ করতে ভালবাসেন।
প্রায় ১৩ শতাংশ মানুষের পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির পাশের দ্বিতীয় আঙুলটি বাকি চারটি আঙুলের থেকে অনেকটা বড় হয়।এই ধরণের পা কে বলে গ্ৰীক পা।সবার সঙ্গে মানিয়ে, সব পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো যোগ্যতা রয়েছে এই মানুষের। গবেষণায় দেখা গেছে, এদের বুদ্ধির পরিমাণ একটু বেশি হয়। অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হওয়ায় এরাই জীবনে কোন আঘাত পেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
বৃদ্ধাঙ্গুলি থেকে শুরু করে পরপর তিনটি আঙুল সমান মাপের এবং শেষ দুটি আঙুল একটু ছোট হয় যাদের, তারা রোমান পায়ের অধিকারী হয়ে থাকেন।এমন পায়ের মানুষের দেহের আকার ও ব্যক্তিত্বের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে। জন্মগতভাবে তারা ঘরের তুলনায় বাইরে বেশি সময় দিতে পছন্দ করেন। প্রচন্ড অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হন এই ধরণের মানুষ।এরা প্রতিকূলতাকে জয় করেন খুব সহজেই এবং নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশা এদের সবসময় তাড়া করে বেড়ায়।নতুন সংস্কৃতিকে আপন করতে পারেন অনায়াসেই।
