আজকাল ওয়েব ডেস্ক: শরীর চাঙ্গা রাখতে হাঁটাহাঁটির তুলনা নেই।শরীরকে সুস্থ ও চাঙ্গা রাখতে রোজ নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে প্রত্যেকের নিজস্ব ক্ষমতা অনুযায়ী হাঁটা উচিত।তবে কেমন গতিতে হাঁটবেন বা কতটা হাঁটা উচিত সেটি নির্ভর করে বয়সের ভিত্তিতে।
সাধারণত বয়স্করা খুব ভারী শরীরচর্চা করতে পারেন না।আর্থ্রাইটিস বা বয়সজনিত কারণে তাদের শরীর সুস্থ রাখতে তারা খুব বেশি উপায় ব্যবহার করতে পারেন না।তাই ফিট থাকতে হাঁটাহাঁটি করাই একমাত্র ভরসা তাদের কাছে। সকালের মনোরম পরিবেশে হাঁটা খুবই উপকারী।
কিন্তু একটু বয়স হলেই হাঁটতে গেলে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।অনেকেই একরকম ভাবে একটানা হাঁটতে পারেন না।আবার শরীরের কোনও অংশে ব্যথা থাকলে সেই জন্যও মাঝে মাঝে হাঁটার গতি ধীর করতে হয়।মাঝেমাঝে ভারসাম্যেরও সমস্যার কারণে অনেকে পড়েও যান।এই সব সমস্যা এড়িয়ে ঠিক ভাবে হাঁটার জন্য কিছু জিনিস মেনে চলা উচিত।
হাঁটার সময় অনেকটা রাস্তা পেরোতে গিয়ে বড় বড় পা ফেলে তাড়াতাড়ি যাবেন না।শ্বাস নেওয়ার সমস্যা হতে পারে।ছোট ছোট পা ফেলে জোরে হাঁটুন।
সেইক্ষেত্রে আরামদায়ক জুতো পরা কিন্তু ভীষন জরুরী।হাঁটতে গিয়ে যদি পায়ের জুতো ঠিক না হলে পায়ের যন্ত্রনা হতে পারে। তাই এমন জুতো পরুন যা হাঁটার সময় পরে আরাম পাবেন।তবে খুব নরম জুতো ব্যবহার করবেন না।
হাঁটার সময় ব্যক্তির মাথা সঠিক অবস্থানে রাখা উচিত।ঘাড়কে মেরুদণ্ডের একটি অংশ ভেবে নিয়ে এবার মনে করুন আপনি নিজের মেরুদণ্ডকে প্রসারিত করছেন।চোয়াল থাকবে মাটির সঙ্গে সমান্তরাল।হাঁটার সময় হাত কনুই থেকে ভাঁজ হয়ে থাকবে।
সকাল বেলা হাঁটতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার খাওয়া উচিত নয়।এতে হাঁটতে কষ্ট হতে পারে, তাই হালকা কোনও কিছু খেয়ে হাঁটতে যান।হাঁটতে যাওয়ার আগে বেশি পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি।
বার্ধক্যজনিত কারণে মনস্তাত্বিক পরিবর্তন হয় তাই হাঁটার ধরণও পাল্টে যায়।হাঁটা শুরুর আগে পিঠ, নিতম্ব, হ্যামস্ট্রিংয়ের স্ট্রেচিং করে নিন। সব বয়সের ব্যক্তিদের জন্যেই এগুলো জরুরি।তবে বৃদ্ধদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়া চেয়ারে ওঠাবসা করা, পায়ের পাতার স্ট্রেচিং, অ্যারোবিকস কন্ডিশনিং ব্যায়াম-এগুলো বয়স্ক ব্যক্তিদের হাঁটার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
হাঁটার সময় সঙ্গে ভারী ব্যাগ রাখবেন না।জলের বোতলও নয়।এসব অসম ওজনে হাঁটার সময়ে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
