আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ জরুরি জিনিসপত্র এক জায়গায় রাখুন।চাবি, ওয়ালেট, মোবাইল, হেডফোন ও প্রতিদিন দরকার হয় এমন জিনিসপত্র একসাথে দরজার কাছে কোথাও রাখুন।এতে বাইরে বের হওয়ার সময় সহজেই নিতে পারেন ও ঘরে ফিরে সব গুছিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে অন্তত দরকারি কোনো কিছু হারিয়ে অফিসে বা কাজে যেতে দেরি হবে না। ছোট ছোট প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য সুন্দর বাক্স বা হোল্ডার কিনতে পারেন।
প্রতিদিন একটি করে টু-ডু লিস্ট বানান, এতে আগের দিনের বাকি থাকা কাজ ও নতুন কাজ লিখে নিন। 
 
 লিস্ট বানাতে সমস্যা হলে শুধু বড় প্রজেক্টগুলিই লিখে রাখার অভ্যাস থাকে, তাহলেও সেটা প্রতিদিন দেখুন।কী কী কাজ শেষ করেছেন, ট্র্যাক করুন।কোনো কাজ যদি অপ্রাসঙ্গিক বা অপ্রয়োজনীয় বা পড়ে করলেও হবে বলে মনে হয় তাহলে বাদ দিন।অপ্রয়োজনীয় কাজে আটকে থাকবেন না ও সময় অপচয় হবে না।
কাগজ ব্যবহার কমাতে পারলে পরিবেশের সঙ্গে হওয়া অন্যায়কে কিছুটা কম করতে পারেন।
 
 প্রয়োজনীয় বিল ও স্টেটমেন্ট অনলাইনে ও ইমেইলে ডেলিভারি নিন।এতে ঘরে অপ্রয়োজনীয় কাগজের পরিমাণ কমবে, ঘর এলোমেলো হবে না। 
 
 বিলের পেমেন্ট এখন আমরা বেশিরভাগ সময় অনলাইনেই করি, তাই বিলও অনলাইনে নেওয়াই ভাল। 
নিয়মিত সেভিংস অ্যাকাউন্টের দিকে নজর রাখুন।আয় ও ব্যয় চেক করুন।এতে করে আগের দিন কোথায় কত টাকা খরচ করেছেন তা জানতে পারবেন।অতিরিক্ত টাকা খরচের প্রবণতা অনেক কমবে এর কারণে।তাছাড়া প্রতিদিন সকালে সেভিংস এর দিকে তাকালে সঞ্চয়ের মনোভাব বাড়বে।
সবসময় একটা নোটপ্যাড সাথে রাখুন।
 
 জীবনকে গোছালো করে তুলতে একটা পকেট সাইজ নোটবুক অত্যন্ত দরকারি ভূমিকা রাখবে আপনার জীবনে।শপিং লিস্ট, ছোটখাটো কাজ, টু-ডু লিস্ট, নানারকম চিন্তাভাবনা লিখে রাখুন এই নোটবুকে, এটা সবসময় নিজের সাথে রাখুন।
 
 ছোট এই নোটবুক সহজে 
 
 যেকোনো জায়গায় নেওয়া যায়, সুবিধামত ব্যবহার করা যায়।তাছাড়া ডিভাইসের মত চার্জ দেওয়ার ঝামেলাও নেই।আমাদের সারাদিন যে কোনও সময় কিছু একটা লেখার দরকার হতে পারে, এমন সময়ে এই নোটবুক কাজে আসবে। 
অনেকে নোট করার জন্য মোবাইলে অ্যাপে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বেশি।কিন্তু মোবাইল অ্যাপের কথা খুব জরুরি বিষয় না হলে আমাদের মনে পড়ে না।নোটপ্যাড আপনার নিজে থেকেই প্রয়োজনীয় অনেক কিছু লিখে রাখতে মন চাইবে।সম্ভব হলে, পরের বার বের হওয়ার সময় একটি নোটবুক সাথে নিন।
আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী ওয়ালেট।এটি গোছানোর অভ্যাস গড়ে তোলা সবচেয়ে সহজ, সময়ও বেশি লাগে না।যখনই সময় পাবেন, যেমন টিভি দেখা বা যাতায়াতের সময় বসে ওয়ালেটটি গুছিয়ে ফেলতে পারেন।প্রথমেই দরকারি রিসিটগুলো যত্ন করে রাখুন। অপ্রয়োজনীয়গুলি ফেলে দিন।কার্ড গুছিয়ে নিন।বেশি ব্যবহার করা হয় এমন কার্ডগুলি সামনে রাখুন। খুচরা টাকা ও কয়েন বের করে একটি জার বা কন্টেইনারে রাখুন।
পরবর্তী কয়েক দিনের খাবারের পরিকল্পনা আগে থেকে করে রাখাই মিল প্ল্যান।প্রতিদিন অথবা কিছুদিন পরপর মিল প্ল্যান চেক করুন, যাতে প্ল্যানের সাথে মিল রেখে চলতে পারেন।প্রতিদিন চেক করা সবচেয়ে ভাল, তবেই সেটি অভ্যাসে পরিণত হবে।দরকার অনুযায়ী যেকোনো সময় এই লিস্ট আপডেট করে নিতে পারবেন। 
 
 প্রতিদিন মিল প্ল্যান করলে কবে কোন খাবার বানাবেন সেটা মাথায় থাকবে, সে অনুযায়ী শপিং লিস্ট বানালে অপ্রয়োজনীয় খরচের হাত থেকেও বেঁচে যাবেন।যেসব জিনিসপত্র কিনে ফেলেছেন, তা লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দিন। সবশেষে, কেনাকাটা ও রান্নাবান্নার জন্য সময় শিডিউল করুন। 
আগের রাতে পরদিন পরার কাপড় বের করে রাখুন
 
 পরের দিন অফিসে বা কাজে পরে যাওয়ার জামাকাপড় আগের রাতে তৈরি করে রাখলে অনেকখানি সময় বেঁচে যাবে।সকালে নিজে তৈরি হওয়ার সময় জামাকাপড় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও সময় লাগে।তাছাড়া সন্তানকেও স্কুলের জন্য তৈরি করতে অনেকটা সময় দরকার হয়। 
 
 যেসব কাজকে ভয় পান, বা করতে অস্বস্তি বোধ হয়, সেগুলিও নির্ধারিত সময়ে হয়ে যাবে।প্রতিদিন কোনো একটা কাজ করার ফলে আপনার মনও ভাল থাকবে, কাজে আরো আগ্রহ পাবেন।
এরকম ছোট ছোট অভ্যাসগুলিই আপনার দৈনন্দিন জীবন সহজ করার পাশাপাশি বড় সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে এবং অনেক সমস্যা ও সময়ের অপচয় থেকে রেহাই পাবেন।
