আজকাল ওয়েব ডেস্ক: পুজোয় ঠাকুর দেখবেন আর আইসক্রিমে কামড় বসাবেন না তাই আবার হয় নাকি।গলা শুকিয়ে এলে কোল্ডড্রিংকসও খাবেন। কিন্তু এইসব ঠান্ডা জিনিস মুখে দিতেই দাঁতের শিরশিরানি ব্যথা শুরু হলে পুজোর আনন্দই তো মাটি।এই সমস্যা দৈনন্দিন জীবনের কিছু ভুলে, আরও বড় আকার ধারণ করে।মাজন, ব্রাশ বদলেও এর কোনও সমাধান পাওয়া যায় না।

সমাধান লুকিয়ে আছে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকায়। আপনার মাড়ির সমস্যা বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই এইসব উপায়ে দাঁতের যত্ন নিন।

লবঙ্গ তেল দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখলে বিশেষ উপকার পাবেন।লবঙ্গে আছে ‘ইউজেনল’ দাঁতের ব্যথার যম।গ্রিন টি-তে লবঙ্গ ফেলে সেই মিশ্রণ দিয়ে কুলকুচি করলেও আরাম পাওয়া যায়।এই অসামান্য টোটকার কথা অনেকেরই অজানা।

এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ নুন মেশান। সকালে মুখ ধোয়ার পর এই জল দিয়ে কুলকুচি করুন। জল মুখে রেখে নাড়াচাড়া করে ফেলে দিন।নুনের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ কমায়, শিরশিরানি থেকে মুক্তি পাবেন।গরম জলে এক চামচ মধু মেশান। সকালে মুখ ধোয়ার পর এই জল দিয়ে কুলকুচি করুন। জল মুখে রেখে নাড়াচাড়া করে ফেলে দিন। মধুর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ কমায়, শিরশিরানি থেকে মুক্তি পাবেন।

এক টেবিল চামচ হলুদ, আধ চামচ সর্ষের তেল ও আধ চামচ নুন একসঙ্গে মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দাঁত ব্রাশ করুন। আধঘন্টা কিছু খাবেন না।‌ দাঁত শিরশির করার সমস্যা কমতে পারে।তাছাড়া ভাল কোম্পানির মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন। এতে দূর্গন্ধ দূর হয়ে দাঁতের ব্যথাও কমবে‌‌।

দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি1, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ফ্লোরিন ইত্যাদি অপরিহার্য। ভিটামিন ডি সুস্থ দাঁত ও হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, কিছু মাছ, ডিমের কুসুম, মাশরুম, লিভার ইত্যাদিতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।