আজকাল ওয়েবডেস্কঃ পাইলস বা অর্শ্বরোগে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যেও এই সমস্যা বাড়ছে। এর কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস। পাইলস হলে মলদ্বারের চারপাশে বা নীচের মলদ্বার ফুলে যায়। এটি এমন একটি রোগ যাতে মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের শিরাগুলো ফুলে যায়। এ কারণে মলদ্বারের ভেতরের বা বাইরের অংশে কিছু মাংস জমা হয়।

এসব মাংসপিণ্ড থেকে রক্তপাতের পাশাপাশি প্রচণ্ড ব্যথা হয়। বিশেষত খুব গরম ও মসলাদার খাবার খেলে এই সমস্যা হয়। একই সঙ্গে পরিবারের কারও যদি এ সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেও রোগটি স্থানান্তরিত হয়। মলত্যাগের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা জ্বালাপোড়া, মলের মঙ্গে রক্ত পড়া, মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা পিণ্ডভাব, মলদ্বারের কাছে চুলকানি এবং রক্তপাত। দিনের পর দিন ওষুধ ডাক্তার করেও বিফল হচ্ছেন মানুষ। তাই জেনে রাখুন কিছু ঘরোয়া সমাধান।

পাইলসের চিকিৎসায় নারকেল তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাইলসের সমস্যা থাকলে নারকেল তেলে সামান্য হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে অর্থাৎ হালকা হাতে বা তুলা দিয়ে লাগান মলদ্বারের অংশে, পাইলস থেকে আরাম পাওয়া যায়। এভাবে একটানা কয়েকদিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

সামান্য অ্যালোভেরা জেলে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি নিয়মিত রাতে শোবার সময় মলদ্বারে অর্শের জায়গায় লাগাতে হবে। এটি একটানা দুই সপ্তাহ ব্যবহার করুন। এতে আপনি দ্রুত পাইলস থেকে মুক্তি পাবেন।

দেশি ঘি অনেক রোগে খুবই উপকারী। নিয়মিত দেশি ঘি খেলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাইলসের সমস্যা হলে সামান্য দেশি ঘিতে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি আপনার মলদ্বারের অংশে বা আপনার হেমোরয়েডের জায়গায় নিয়মিত লাগিয়ে রাখুন। কিছু দিনের মধ্যে আপনার পাইলস দূর হয়ে যাবে। 

একটি পেঁয়াজ ঘষে নিন। এর রস বের করুন । এতে সর্ষের তেল ও হলুদ দিন । এবার এই পেস্টটি পাইলসের জায়গায় লাগান। এই হলুদের পেস্ট প্রতি ৩০ মিনিট পর পর লাগাতে হবে ।