আজকাল ওয়েবডেস্ক: সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি। পুরাণমতে এই চারটি যুগ। আর এখন চলছে কলি। যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ঠিক কবে শেষ হবে এই ঘোর কলিযুগ? এর শেষ কোথায়? হিন্দু শাস্ত্র, বিশেষত বিষ্ণু পুরাণে, কলিযুগের অন্তিম পর্ব এবং তার ভয়াল শেষ রাত্রি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, সেই ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী কেমন হবে কলিযুগের শেষ রাত।
কেমন হবে কলিযুগের শেষ রাত?
বিষ্ণু পুরাণে কলিযুগের প্রতিটি পর্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা হয়েছে। পুরাণ মতে, কলিযুগ যখন তার চরম সীমায় পৌঁছবে, তখন প্রতিটি রাত তার আগের রাতের চেয়েও বেশি অন্ধকারময় হবে। আসলে আক্ষরিক অর্থের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ এর ভাবগত অর্থ। এখানে বোঝানো হয়েছে কলিযুগের রাতে পাপ এবং অপরাধ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে। মানুষ চোখের সামনে দেখা বিষয় নিয়েও নির্লজ্জের মতো মিথ্যা বলবে। অন্যদিকে, কলিযুগের শেষ রাত্রি হবে সবচেয়ে দীর্ঘ। সেই রাত এতটাই ঘন অন্ধকারে ঢাকা থাকবে যে প্রদীপ জ্বালিয়েও পাওয়া যাবে না আলো। রাত শেষ হওয়ার অপেক্ষায় অস্থির হয়ে উঠবে সাধারণ মানুষ, কিন্তু চারিদিকে কেবল ধ্বংসের চিহ্নই প্রকট হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন: ‘ধরবে নাকি?’ পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন প্রযোজক! টাকার বিনিময়ে সঙ্গমও করেন কামসূত্রের নায়িকা?
আরও পড়ুন: ২৬৪৫ লিটার স্তন্য উৎপন্ন হয় বধূর শরীরে! 'রোজ রাতে ৩ ঘণ্টা..' বিপুল দুগ্ধ উৎপাদনের রহস্য ফাঁস করলেন নিজেই

কলিযুগের শেষ রাত এতটাই দীর্ঘ হবে যে, তা এক বছরের সমান বলে মনে হবে। কলিযুগের শেষ রাতে প্রকৃতি ধারণ করবে রুদ্র রূপ। মুষলধারে বৃষ্টির কারণে পৃথিবীতে চতুর্দিকে বন্যা হবে। সমগ্র বিশ্ব জলমগ্ন দেখাবে। প্রবল বর্ষণের সঙ্গে চলবে প্রচণ্ড ঝড়-ঝঞ্ঝা। রুদ্র প্রকৃতি সমগ্র বিশ্বে তাণ্ডবনৃত্য করবে। মানুষের হৃদ্‌স্পন্দন বেড়ে যাবে। উপরন্তু অধিকাংশ মানুষই শারীরিক ভাবে রুগ্ন ও দুর্বল হয়ে পড়বে। কারণ কলিযুগের চরম সীমায় এসে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়বে যে, তাদের শারীরিক পরিশ্রম করার ক্ষমতা লোপ পাবে। মানসিকভাবে মানুষ এতটাই ভঙ্গুর হয়ে যাবে যে, সামান্য কটু কথা শুনেই অস্থির হয়ে পড়বে। কলিযুগের শেষ রাতে যখন চারিদিকে প্রবল বৃষ্টি হবে, তখন মানুষ পালানোর চেষ্টাও করতে পারবে না, কারণ তাদের শরীরে কোনও শক্তিই অবশিষ্ট থাকবে না।

দেখা দেবে ভয়াবহ খাদ্যাভাব। বৃষ্টি, ভূমিকম্প এবং ঝড়ের কারণে সঞ্চিত শস্য হয় ভেসে যাবে, নয়তো খাওয়ার অযোগ্য হয়ে উঠবে। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হবে মানুষ। ক্ষুধা এতই চরমে পৌঁছে যাবে যে মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও বোঝার ক্ষমতা লোপ পেতে শুরু করবে। ফলে মনে ক্রোধ এবং ভয়ের মতো নেতিবাচক অনুভূতি জন্ম নেবে। ক্রমে তারা একে অপরের শত্রু হয়ে উঠবে। সব মিলিয়ে শেষের সেদিন বড়ই ভয়ঙ্কর।