আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ 'আর্লি টু বেড, অ্যান্ড আর্লি টু রাইজ' কথাটি প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ অর্থ রয়েছে। ভোরে কোলাহল কম থাকে, চারপাশের পরিবেশ শান্ত থাকে। মনঃসংযোগ করতে সুবিধা হয়।যে কোনোও কাজে একাগ্রতা আসে। এই সময় কঠিন ও জটিল বিষয় নিয়ে চর্চা করলে তার সমাধানও বেরিয়ে আসতে পারে।
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ার সঙ্গে সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনের যোগ রয়েছে। কিন্তু এখনের ব্যস্ততার সময়ে রাত জেগে মোবাইল ট্যাবলেটে কাজে ডুবে থাকা, নানা স্ট্রেসের কারণে কম ঘুম হওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার মতো অনেক ভুল অভ্যাস আমাদের ভোরবেলা ঘুম থেকে ভরপুর এনার্জি নিয়ে উঠতে বাধা দেয়। জানুন এই অভ্যাসের কী কী উপকারিতা রয়েছে।
খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলে, সকালের সূর্যের আলো আপনার শরীরে পড়ে ৷ এই প্রাকৃতিক আলো আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। ভোরের এই সূর্যের আলো শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করে ফলে অনেক ভাইরাল রোগের ঝুঁকি কমে যায়। কাজের ব্যস্ততায় শরীরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পৌঁছতে পারে না। তাই সকালের আলোয় কিছুক্ষণ থাকতে পারলে আপনি অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারবেন নিজেকে।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার মাধ্যমে, আপনার ঘুম এবং জেগে ওঠার সারাদিনের এই চক্র নিয়ন্ত্রিত হয়। ভাল ঘুম হলে সব কাজের গুণমানও ভাল হয়। নিয়মিত এই রুটিনটি মেনে চলতে পারলে দৈনন্দিন জীবনে মানসিক স্বস্তি পাবেন অঢেল।
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে বাইরে হাঁটতে বেরতে পারলে আপনি প্রকৃতি থেকে এনার্জি ও মানসিক শান্তি পাবেন। ফলে শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন বেশি তৈরি হয়, এটি স্ট্রেসকে দূর করে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
যারা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়েন, তারা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট করার পর্যাপ্ত সময় পান। দেরি করে উঠলে কাজের ব্যস্ততায় সকালের প্রথম ও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ খাবারটিই ভাল মতো খাবার সময় থাকে না। যারা সকালে তাড়াতাড়ি উঠে সময় নিয়ে ব্রেকফাস্ট করেন, অন্যদের তুলনায় বেশি গোছানো এবং সব কাজে সফলতা পেয়ে থাকেন।
সারাদিনের কাজের লিস্ট, পছন্দের কাজ, গাছের পরিচর্যা, গান শোনা, খবরের কাগজ পড়ার মতো অনেক মন ভাল করা কাজ সকালে করতে পারলে সারাদিন খুব ভাল কাটে।
