আজকাল ওয়েব ডেস্ক: মানুষের জীবনে বেশ কিছু বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে ভাল-খারাপ দুই স্বভাব মিলে রয়েছে। আবার সামাজিক জীব হিসাবে কখনও কখনও নিজেদের সুবিধা মতো আসল জিনিসকে বিকৃতও করতে দেখা যায়। যার মধ্যে একটি স্বভাব হল মিথ্যে কথা বলা।
রোজকার জীবনে নানা কারণে ছোট-বড় কত মিথ্যে কথাই না শুনতে হয়। কখনও কখনও তা ধরা পড়ে যায় বটে! তবে বেশিরভাগ সময়েই মিথ্যে বুঝতে পারা সহজ হয় না। মানুষ কথা বলতে গিয়ে সময়ে-অসময়ে আশ্রয় নেয় মিথ্যের। অপরদিকে অনেকেই মিথ্যের দ্বারা প্রতারিত হয়ে একটা সময় ভাবতে বাধ্য হয়—যদি এমন কিছু পাওয়া যেত যা দিয়ে সহজে মিথ্যেগুলি আলাদা করা যায়! কিন্তু জানেন কি মিথ্যে কথা বললে আমাদের শরীরে পরিবর্তন হয়? হ্যাঁ, সেই পরিবর্তন খেয়াল করলেই সামনের মানুষটির মিথ্যে আপনি সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন।
আসলে মিথ্যে কথা বললে আমাদের শরীরের একটি অঙ্গ গরম হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যখন কেউ মিথ্যে বলেন তখন তিনি "পিনোচিও প্রভাব" অনুভব করেন। যার জন্য সেই ব্যক্তির নাকের চারপাশের অরবিটাল পেশী এবং চোখের ভিতরের কোণে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
বিজ্ঞান বলছে, যারা কঠিন মানসিক কাজ করেন তাঁদের মুখের তাপমাত্রা কমে যায়। অন্যদিকে, যারা বেশি উদ্বেগের মধ্যে থাকেন তাঁদের মুখের তাপমাত্রা বেশি থাকে। গবেষকরা মানুষের মুখের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করার জন্য থার্মোগ্রাফি ব্যবহার করেন। সেই মতে, আপনি সত্যি না মিথ্যে বলছেন তা আপনার নাকই জানান দিতে পারে।
এছাড়াও আপনি যখন মিথ্যে কথা বলেন তখন ঘন ঘন চোখের পাতা পড়ে। একইসঙ্গে মিথ্যে বলার সময়ে মানুষ অতিরিক্ত কথা বলেন এবং চোখের দিকে তাকানো এড়িয়ে যান। শুধু তাই নয়, কখনও কখনও মিথ্যাবাদীরা মুখ ও নাকও ঢেকে দেন। তাই এবার থেকে এই সব বিষয় খেয়াল করলেই সহজে মিথ্যেবাদীকে ধরতে পারবেন।
