আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের জনসংখ্যা দেড়শো কোটির দিকে, তবু যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে গেলেই অনেকেই লজ্জায় মুখ ঢেকে ফেলেন। আর তার জন্যই যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে সম্যক ধারণা তৈরি হয় না। যার প্রভাব পড়ে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। অনেকেই জানেন না যে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা সারাদিন সমান থাকে না। এর মূল কারণ দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া সর্বক্ষণ চালু থাকে না। বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়া যে চক্র মেনে চলে তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে সার্কাডিয়ান চক্র।

পুরুষদের যৌন সক্ষমতা এবং সার্কাডিয়ান চক্রের মধ্যে একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে। সহজ ভাষায় সার্কাডিয়ান সাইকেল হল আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি, যা প্রায় ২৪ ঘণ্টার একটি চক্র মেনে চলে এবং আমাদের ঘুম, হরমোন উৎপাদন এবং অন্যান্য শারীরিক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।

আরও পড়ুন: নিজেই জানতেন না তিনি অন্তঃসত্ত্বা! মলত্যাগ করতে গিয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা
আরও পড়ুন: রোগীদের উপুড় করে নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলে নিতেন! তারপর…? বিস্ফোরক অভিযোগ নামী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

দেখে নেওয়া যাক এই চক্র কীভাবে পুরুষদের যৌন সক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

টেস্টোস্টেরনের মাত্রা: টেস্টোস্টেরন হল প্রধান পুরুষ যৌন হরমোন, যা যৌন ইচ্ছা, বীর্য উৎপাদন এবং সামগ্রিক যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা দিনের বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, সকালের দিকে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে এবং রাতের দিকে কম থাকে। এই কারণে, বহু ক্ষেত্রে সকালের দিকে পুরুষদের যৌন ইচ্ছা বেশি হতে পারে।

অন্যান্য হরমোন: টেস্টোস্টেরন ছাড়াও, অন্যান্য হরমোনও পুরুষের যৌন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন যৌন ইচ্ছাকে কমাতে পারে। কর্টিসলের মাত্রাও সার্কাডিয়ান চক্র দ্বারা প্রভাবিত হয়।
ঘুমের গুণমান: পর্যাপ্ত ঘুম পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের অভাব টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে এবং যৌন ইচ্ছাকে প্রভাবিত করতে পারে। সার্কাডিয়ান চক্র আমাদের ঘুমের ধরনকে নিয়ন্ত্রণ করে। অনিয়মিত ঘুম বা ঘুমের অভাব সার্কাডিয়ান চক্রকে ব্যাহত করতে পারে এবং পুরুষের যৌন ক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য: সার্কাডিয়ান চক্র মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সার্কাডিয়ান ছন্দের ব্যাঘাত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এ তো গেল বিজ্ঞানের কথা। কিন্তু এর বাইরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। সেটা হল মানসিক প্রস্তুতি। উভয় সঙ্গীর মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকা এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা থাকা প্রয়োজন। যখন উভয় পক্ষই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তখনই যৌন মিলন সম্ভব। সময় সেখানে নিমিত্ত মাত্র। অনেকের জন্য সময়টা ব্যক্তিগত পছন্দের উপরও নির্ভর করে। কেউ সকালে পছন্দ করেন তো কেউ রাতে। কাজেই সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে সময় নির্ধারণ করাই সবচেয়ে ভাল।