আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিজেপি শাসনে ভারতে কতটা সামাজিক সুরক্ষায় আছে সংখ্যালঘুরা তা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে রিপোর্ট। ওয়াশিংটনের 'সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ অর্গানাইজড হেট' এর একটি প্রজেক্ট 'ইন্ডিয়া হেট ল্যাব'-এর সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে ২০২৪ সালে ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে দেখা গেছে। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে ১,১৬৫টি ঘৃণা ভাষণের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের ৬৬৮টি ঘটনার তুলনায় ৭৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিরও হিংসাত্মক বক্তব্য প্রচারে ভূমিকা আছে। ১,১৬৫টি ঘটনার মধ্যে ৯৯৫টি, অর্থাৎ ৮৫ শতাংশের বেশি ঘটনা প্রথমে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স প্রভৃতি প্ল্যাটফর্মগুলিতে শেয়ার বা লাইভস্ট্রিম করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত, ফেসবুক শুধুমাত্র ৩টি ভিডিও সরিয়ে দিয়েছে, ফলে ৯৮.৪ শতাংশ ভিডিও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এখনও রয়েছে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করা সত্ত্বেও।
এখনো পর্যন্ত, ২০২৪ সালে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বক্তৃতার ঘটনা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের প্রতিবেদনের বিষয়ে বিজেপির কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অতীতে যদিও বিজেপি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কিন্তু প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রে ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এবং বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংখ্যালঘু সহ দলিতদের ওপর হিংসা ও নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে।
