আজকাল ওয়েবডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজোয় ধুমধাম করে উদযাপন চলছে হুগলির চন্দননগরে। সপ্তমীতেই ঘটল বিপত্তি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল চন্দননগরের তথা বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী মূর্তির। জগদ্ধাত্রী মূর্তির তলায় চাপা পড়ে আহত হয়েছেন অনেকেই। 

খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে যান চন্দননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। খোদ নিজেই হাত লাগান উদ্ধার কাজে। তাঁর নির্দেশে প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধারকার্য সম্পন্ন করে। দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালিয়ে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী মূর্তির ট্যাগ লাইন ছিল এই পুজোর। চন্দননগর কানাইলাল পল্লীর সেই পুজো মণ্ডপ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন সাত জন।

 

উদ্যেশ্য ছিল দর্শকদের চমকে দেওয়া। আর সেই চমক দিতে প্রায় ৭০ ফুটের পুজো মণ্ডপ তৈরি করেছিল কানাইলাল পল্লী। মণ্ডপের সামনে ফাইবারের জগদ্ধাত্রী মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল। খুব বেশি উচ্চতা হওয়ায়,

হালকা হাওয়াতেই উল্টে পড়ে জগদ্ধাত্রী মূর্তিটি। 

 

সেসময় দর্শনার্থীরা ছিলেন পুজো মণ্ডপে। চাপা পড়ৈ সাত জন আহত হন। মণ্ডপের তলায় আর কেউ চাপা পড়ে আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আহতদের উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি সহ উচ্চ পদস্থ কর্তারা। 

 

আরও পড়ুন: তরুণীর অন্তর্বাসে ও কী! ঘেঁটে দেখতেই চোখ ছানাবড়া, বিমানবন্দরে পুলিশের বর্ণনা শুনলে চমকে যাবেন

 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী মূর্তির নীচে চাপা পড়ে কারও মাথা ফেটেছে, কারও হাত ভেঙেছে। দুর্ঘটনার পরেই উপস্থিত পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। আহত একজনকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। 

 

ঘটনায় আহত হয়েছেন জগদ্ধাত্রী পুজোর এক বিচারক জয়দীপ মুখার্জি। ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁরা মণ্ডপটিতে বিচারক হিসেবে এসেছিলেন। তাঁদের বিচারক মন্ডলীর প্রত্যেক সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা প্রতিমা দর্শন করে দেখে বাইরে বেরোতেই দেখেন জোরে হাওয়া চলার কারণে মণ্ডপটি দুলছে। হঠাৎই সেটি হেলে পড়তে শুরু করে। ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় সেই সময়। ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক জন। ভয়ানক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন তিনি। 

 

ঘটনায় আহত হয়েছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী রানী ঘোষ। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে চন্দননগর হাসপাতালে। আহত এই মহিলা লক্ষ্মী রানী ঘোষ বলেন, তিনি এলাকারই বাসিন্দা। গতকাল তিনি ঠাকুর দেখতে আসতে পারেননি কারণ মণ্ডপ সম্পূর্ণ হয়নি। আজ বিকালে ভিড় কম থাকার সময় তিনি ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন। তিনি ঠাকুর দেখে যখন বাইরে বের হন সেই সময় গোটা মূর্তিটি পড়ে যায় তাঁর গায়ের উপরে। 

 

এই বিষয়ে চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে সপ্তমীর দিনে। মণ্ডপের উচ্চতা একটু বেশি ছিল। তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। মেয়র বলেন কমপক্ষে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে চন্দননগর হাসপাতালে। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন, উদ্ধারকারী কর্মীরা ও এলাকার স্থানীয় বারোয়ারির সদস্যরা মিলে মণ্ডপটিকে কেটে উদ্ধার কাজ চালান। ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।