সংবাদ সংস্থা মুম্বই: একটা সময় তাঁকেই বলা হত শাহরুখ খানের গলার ‘যমজ’। ছবিতে তাঁর ঝলমলে ব্যক্তিত্বের মতোই কণ্ঠেও ছিল মাধুর্য—আর সেই কণ্ঠস্বরটা ছিল অভিজিৎ ভট্টাচার্যের। কিন্তু এখন? এক সাক্ষাৎকারে গায়ক একেবারে স্পষ্ট বললেন— তাঁর কণ্ঠ, তাঁর গানগুলো যেন কবে থেকে “স্রেফ শাহরুখের” বলে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। আর তিনি যেন হারিয়ে গিয়েছেন শাহরুখের ছায়ায়।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ বললেন, “আমরা যমজ ভাইয়ের মতো ছিলাম —আমার গলাটাই যেন ওঁর! আর এখন মনে হয় ওইসব গান তো শাহরুখ-ই গেয়েছেন, উনি নিজেই লিখেছেন, সুর-ও দিয়েছেন, এমনকী গোটা ছবিটাও বানিয়ে দিয়েছেন! মানে সবকিছু-ই শাহরুখ! আমি কী করব বলুন?” অভিজিতের গলায় ফুটে উঠেছিল রসিকতা মিশে থাকা স্পষ্ট হতাশা। আরও বললেন, “লোকে বলে, ‘এটা তো শাহরুখের গান।’ তখন মনে হয়, “ও হ্যাঁ, এটা তো আমার গানই ছিল না!”
শুধু তাই নয়, ‘চলতে চলতে’ ছবির ‘তওবা তুমহারে ইশারে’ গান নিয়েও অভিজিৎ বলেন— “ছবিটা মোটামুটি ছিল, গানগুলো সুপারহিট। আসলে গান ছাড়া ওই ছবির আর কিস্যু ছিল না। কিন্তু এখন এসব বললেই অনেকে রেগে যান।”
 
 নয়ের দশক থেকে এ শতকের প্রথম দশক এর শুরুর দিকে বলিউডের প্রেমের গানের এক অবিচ্ছেদ্য নাম ছিলেন অভিজিৎ। ‘জরা সা ঝুম লুঁ ম্যায়’, ‘বাদশা ও বাদশা’, ‘খুদ কো কেয়া সমঝতি হ্যায়’, ‘ওহ লড়কি যা সব সে আলগ হ্যায়’— একের পর এক হিট। প্রায় হাজারের  বেশি গান, বহু ভাষায়, বহু তারকার জন্য গেয়েছেন অভিজিৎ। বহু নামী ফিল্মি পুরস্কারও নিজের ঝুলিতে ভরেছেন শিল্পী— এককথায় প্রাপ্তির ঝুলিও কম নয়।
 
 তবু শাহরুখ খানের সঙ্গে রয়েই গিয়েছে তাঁর ‘অস্বস্তিকর’ রসায়ন
