আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপ ট্রফি ফেরত চেয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান মহসিন নাকভিকে আনুষ্ঠানিক ই-মেইল পাঠাল বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।

বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তারা নাকভির পক্ষ থেকে উত্তর প্রত্যাশা করছেন। যদি কোনও প্রতিক্রিয়া না আসে, তাহলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তোলা হবে।

বোর্ড সচিব সাইকিয়া বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং এই বিষয়টি নিয়ে নিয়মিতভাবে ফলো-আপ করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতীয় দল পাকিস্তানের মন্ত্রীর হাত থেকে ট্রফি সংগ্রহ করতে অস্বীকার করে।

ম্যাচ-পরবর্তী অনুষ্ঠানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান মহসিন নাকভির হাত থেকে পুরস্কার নিতে রাজি হননি ভারতীয় খেলোয়াড়রা। এর পর নাকভি ক্ষুব্ধ হয়ে পুরো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বাতিল করেন এবং কর্মকর্তাদের ট্রফিটি এসিসির দুবাই শাখার অফিসে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: সুপার কাপের জন্য সন্দীপের শুভেচ্ছা অস্কারের দলকে, বড়যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছেন প্রাক্তন গোলকিপার, কী করতে চলেছেন তিনি?

৩০ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের একটি সভায় বিসিসিআই নাকভির আচরণের তীব্র নিন্দা জানায়। বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, ‘এশিয়া কাপের ট্রফি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ভারতীয় দলকে, অর্থাৎ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।’

বিসিসিআইয়ের বর্তমান সচিব দেবজিত সাইকিয়া নাকভির আচরণকে ‘অশোভন ও স্পোর্টসম্যানশিপের বিরুদ্ধে’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে পাকিস্তানের একজন বরিষ্ঠ নেতার কাছ থেকে ট্রফি নেব না। কিন্তু তাই বলে তাঁর ট্রফি ও মেডেল নিয়ে যাওয়ার অধিকার নেই। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করি, ট্রফি ও মেডেল দ্রুত ভারতের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’

যদিও পরে নাকভি এসিসির সদস্য দেশগুলির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তারপরেও তাঁর নিজের অবস্থান থেকে সরেননি। তিনি জানিয়েছেন, ভারত যদি ট্রফি নিতে চায় সেক্ষেত্রে অধিনায়ককে দুবাইয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কার্যালয়ে এসে ট্রফি সংগ্রহ করতে হবে।

বিসিসিআই সঙ্গে সঙ্গে এই শর্ত প্রত্যাখ্যান করে জানায়, ফাইনালের পরপরই ট্রফি হস্তান্তর হওয়ার কথা ছিল। তার জন্য ভারতীয় অধিনায়কের দুবাই যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এই ঘটনা দুই দেশের ক্রিকেট প্রশাসনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে, এবং ভারতের এশিয়া কাপ ২০২৫ জয়ের আনন্দেও এক অস্বস্তিকর ছায়া ফেলেছে।