আজকাল ওয়েবডেস্কঃ যুগ যুগ ধরে বাঙালির খাবরের তালিকায় মূলত ছিল ভাত। সাম্প্রতিককালে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ভাতের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। আবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও ভাত খাওয়ায় মাপামাপি রয়েছে। তাই সুস্বাস্থ্যের দিকে পা বাড়াতে ভাতের বিকল্প খুঁজে নিয়েছেন অনেকে। সাদা ভাতের বদলে খাদ্যতালিকায় জায়গা পেয়েছে ব্রাউন রাইস বা বাদামি চালের ভাত। 

ব্রাউন রাইসের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পুষ্টিবিদদের মতে, ক্যালোরি কম থাকায় ব্রাউন রাইস খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। এছাড়াও বাদামি চালের বহুবিধ উপকারিতার বিষয়ে শোনা যায়। কিন্তু সত্যি কি ব্রাউন রাইস খাওয়া ভাল? সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে চমকে দেওয়া তথ্য। 

মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্রাউন রাইসে অনেক বেশি পরিমাণে আর্সেনিক থাকে। মূলত অজৈব আর্সেনিক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। যা শরীরের জন্য মোটেই ভাল না। বিশেষত এটি শিশুদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।‘রিস্ক অ্যানালাইসিস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে গবেষকরা দাবি করেছেন, একাধিত নামী ব্র্যান্ডের ব্রাউন রাইসে আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে। এমনকী কোনও কোনও ব্র্যান্ডের বাদামি চালে ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত অজৈব আর্সেনিক মিশে থাকার প্রমাণও মিলেছে। 

গবেষকদের মতে, একদিনে হয়েতো এই ব্রাউস রাইসের প্রভাব শরীরে পড়বে না। তবে দীর্ঘ সময় ধরে আর্সেনিকযুক্ত এমন চালের ভাত খেতে থাকলে হার্ট, লিভার, কিডনি, স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও রক্তচাপের হেরফের, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া সহ সংক্রমণজনিত রোগও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। 

যদিও সব ব্র্যান্ডের ব্রাউন রাইসেই যে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকবে এমনটা জোর গলায় বলতে পারছেন না গবেষকরা। এনিয়ে আপাতত আরও গবেষণা জারি রয়েছে। তবে ব্রাউন রাইস কেনার সময়ে তার উপাদানগুলি আগে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর খাওয়ার পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে সাদা ভাত খেতে না চাইলে বাদামি চালের পরিবর্তে ওটস, কিনোয়া খেতে পারেন।