কিশমিশ একটি ড্রাই ফ্রুট এবং এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেকেই খাবার বা পায়েসে কিশমিশ দিতে পছন্দ করেন। নানা রকম মিষ্টিতেও কিশমিশ স্বাদ ও সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। অনেকেই নিয়মিত কিশমিশ খান। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশের জল শরীরের জন্য আশ্চর্যজনকভাবে কার্যকর হতে পারে। কিশমিশ সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই জল পান করলে এটি ওষুধের মতো কাজ করে। কিশমিশের জল শরীরকে ভিতর থেকে ডিটক্স করে এবং নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কিশমিশের জল খাওয়ার উপকারিতা

পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে– হেলথলাইন–এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কিশমিশের জল খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। এটি গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। এতে থাকা ফাইবার অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং মলকে নরম করে, ফলে সহজে পেট পরিষ্কার হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশের জল পান করলে পেট হালকা থাকে এবং সারাদিন এনার্জি বজায় থাকে।

রক্তাল্পতা দূর করে – কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, সেই নারীদের জন্য কিশমিশের জল একটি সহজ এবং প্রাকৃতিক উপায়। এটি শরীরে নতুন রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে এবং ক্লান্তি দূর করে।

যকৃতকে ডিটক্স করে – কিশমিশের জল শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান (টক্সিন) বার করে দিতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে লিভারকে পরিষ্কার (ডিটক্স) করে এবং তার কর্মক্ষমতা বাড়ায়। যদি কেউ নিয়মিত অতিরিক্ত তেল–মশলা ও ভাজা খাবার খান, বা জীবনধারা অনিয়মিত হয়, তবে কিশমিশের জল তাদের লিভারের জন্য একপ্রকার আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করতে পারে। নিয়মিত পান করলে লিভারের চাপ কমে এবং হজমও ভাল হয়।

হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী– কিশমিশের জল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা পটাশিয়াম এবং ফাইবার হৃদযন্ত্রের ধমনিকে পরিষ্কার রাখে, ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। সপ্তাহে অন্তত ৪–৫ দিন কিশমিশের জল পান করলে হার্ট সুস্থ থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদে হার্টের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ত্বক এবং চুলের জন্য আশীর্বাদ – কিশমিশের জল শুধু ভিতর থেকে শরীরকে সুস্থ রাখে না, এর প্রভাব ত্বক এবং চুলের উপরও পড়ে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ত্বককে উজ্জ্বল করে, বলিরেখা কমায় এবং ব্রণ দূরে রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে। নিয়মিত পান করলে ত্বক প্রাণবন্ত হয় এবং চুল আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।