আমাদের শরীর যে কোনও রোগ জটিল পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার আগেই আভাস দেয়। যা সঠিক সময়ে চিহ্নিত করলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে। ঠিক যেমন শীতের সময় হাত-পা ঠান্ডা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি গরম আবহাওয়াতেও নিয়মিত হাত-পা ঠান্ডা থাকে, তবে তা শরীরের রক্তসঞ্চালন দুর্বল হওয়ার একটি সতর্ক সংকেত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি হৃদরোগ, রক্তাল্পতা, থাইরয়েড সমস্যা কিংবা ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগের শুরুর ইঙ্গিত হতে পারে।
কেন হাত-পা ঠান্ডা হয়
শরীরের রক্ত চলাচল যদি দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে রক্ত সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গে পর্যাপ্তভাবে পৌঁছতে পারে না। এর ফলে হাত ও পায়ের মতো অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিতে রক্তের প্রবাহ কমে যায় এবং সেগুলো ঠান্ডা হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি সাধারণ কারণ হল-
দুর্বল রক্তসঞ্চালন ব্যবস্থাঃ হৃদযন্ত্র দুর্বল হলে রক্ত শরীরের দূরবর্তী অংশে সহজে পৌঁছতে পারে না।
রক্তাল্পতাঃ শরীরে আয়রনের অভাবে রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়, যার ফলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি? এই সব লক্ষণ না চিনলেই মারাত্মক রোগের খপ্পরে পড়বেন
থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতাঃ হাইপোথাইরয়েডিজমে শরীরের বিপাকীয় গতি কমে যায়, ফলে শরীরের উষ্ণতা নেমে যায়।
ডায়াবেটিসঃ রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়।
মানসিক চাপ বা উদ্বেগঃ স্ট্রেসের সময় শরীর রক্তনালী সংকুচিত করে, ফলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে পড়ে।
অন্যান্য উপসর্গ
হাত-পা ঠান্ডা থাকার পাশাপাশি আরও কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন-
*আঙুল ফ্যাকাশে বা নীলচে হয়ে যাওয়া
 
 *ত্বক শুষ্ক হওয়া
 
 *ক্লান্তি বা মাথা ঘোরা
 
 *পায়ের ব্যথা বা ক্র্যাম্প
প্রাকৃতিক উপায়ে সমাধান
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ জীবনযাপনের পরিবর্তন রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করতে অনেক সাহায্য করে। যেমন-
১. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। হাঁটা, যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।
২. গরম জল পান করুন। ঠান্ডা জলের বদলে হালকা গরম জল রক্তচলাচল সচল রাখে।

৩. ম্যাসাজ বা গরম সেঁক নিন। এটি রক্ত চলাচল দ্রুত করে এবং হাত-পায়ের উষ্ণতা বাড়ায়।
৪. আয়রন ও ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাছ, ডাল, পালং শাক খান।
৫. ধূমপান ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো রক্তনালী সংকুচিত করে।
৬. স্ট্রেস কমান ও পর্যাপ্ত ঘুমান। মানসিক শান্তি রক্তসঞ্চালনে বড় ভূমিকা পালন করে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন? যদি নিয়মিত হাত-পা ঠান্ডা থাকে, সঙ্গে ব্যথা, ঝিনঝিন ভাব বা ত্বকের রং পরিবর্তন হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে রো
