ডিমের খোসা খাওয়ার পর ফেলে দেওয়ার জিনিস নয়, বরং এগুলো নানা উপায়ে আমাদের ঘর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করতে পারে। জেনে নিন ডিমের খোসার কিছু ব্যবহার, যা ঘরকে পরিষ্কার এবং কীটমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।

লম্বা ফুলদানি বা বোতল পরিষ্কার
বাড়িতে যদি লম্বা ফুলদানি বা বোতল থাকে, সেগুলো পরিষ্কার করা বেশ ঝামেলার কাজ হয়ে দাঁড়ায়। ডিমের খোসা এই সমস্যার সহজ এবং কার্যকর সমাধান হতে পারে। এর জন্য শুধু জল, ভিনিগার এবং ভাঙা ডিমের খোসা মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করুন। এবার সেই মিশ্রণ ফুলদানি বা বোতলে ঢেলে ভাল করে ঝাঁকান। তলানিতে জমে থাকা ময়লা সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেখানে সাধারণভাবে পরিষ্কার করা কঠিন, সেখানেও এই পদ্ধতি দারুণ কাজ করে।

কীটপতঙ্গ দূর করতে
বর্ষাকালে ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব একটি সাধারণ সমস্যা। ডিমের খোসা এই সমস্যারও প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ সমাধান। খোসা ভেঙে যেখানে পোকা ঢোকে, সেখানে রেখে দিন। এতে তারা পালিয়ে যাবে। এটি যেমন কার্যকর, তেমনই রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের ঝুঁকি থেকেও ঘরকে রক্ষা করবে।

গাছের জন্য উপকারী
ডিমের খোসা আরও নানা ভাবে কাজে লাগতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, খোসা গুঁড়ো করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে গাছে ক্যালসিয়ামের জোগান হয়। এতে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। এছাড়া বাগানে স্লাগ বা শামুক দূর করতেও ডিমের খোসা দারুণ কার্যকর।

গৃহস্থালির সহায়ক
ডিমের খোসা শুধু খাওয়ার পরের বর্জ্য নয়, বরং ঘর পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে। ফুলদানি বা বোতল পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে কীটপতঙ্গ তাড়ানো—বিভিন্ন উপায়ে খোসার ব্যবহার সম্ভব। তাই পরের বার ডিম ব্যবহার করলে, খোসা ফেলার আগে একবার ভাবুন, এগুলো দিয়ে ঘর পরিষ্কার রাখতে কীভাবে সাহায্য নিতে পারেন।

ডিমের খোসা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এতে খোসায় থাকা যেকোনও জীবাণু নষ্ট হবে। খোসা গুঁড়ো বা টুকরো করে ব্যবহার করলে এর কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।

ডিমের খোসাকে আমরা সাধারণত অপ্রয়োজনীয় ভেবে ফেলে দিই। অথচ একটু ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিলে দেখা যায়, এর ভিতরেই লুকিয়ে আছে নানা সম্ভাবনা। এই খোসা শুধু খাদ্যের অংশ নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারিক প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে। তাই এটিকে বর্জ্য না ভেবে, বরং সম্পদ হিসেবে ভাবা আমাদের অভ্যাসে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।