ইধিকা পাল। ছোট পর্দা থেকে উত্থান। বড় পর্দায় একের পর এক সফল ছবি। সম্প্রতি ‘রঘু ডাকাত’-এর প্রকাশ ঝলকে ধরা দিলেন যোদ্ধা রূপে। চরিত্রের নাম সৌদামিনী। রোম্যান্টিক নায়িকার খোলস ছেড়ে আরও পরিণত, দৃঢ় প্রত্যয়ী। কেমন ছিল এই বদলে যাওয়ার যাত্রা?
আজকাল ডট ইন-কে ইধিকা বলেন, “ছবিটি নিয়ে এখনই খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, খুব মন দিয়ে চরিত্রটি করার চেষ্টা করেছি। ট্রেলারে নিজেকে খুবই ভাল লেগেছে। আমার পরিবারের লোকজন, বন্ধুবান্ধব, ভাইবোনেরাও খুব উত্তেজিত। এরকম লুকে আমায় আগে কখনও দেখা যায়নি। তাই প্রথমবার আমায় এভাবে দেখে সকলেরই খুব ভাল লেগেছে।”
ইতিমধ্যেই ইধিকার নায়ক হয়েছেন দুই বাংলার দুই মেগাস্টার। যে ছবিতে হাত দিচ্ছেন, তা-ই সোনা ফলাচ্ছে বক্স অফিসে। তাঁর বড় পর্দায় হাতেখড়ি ২০২৩ সালে। বাংলাদেশের তারকা শাকিব খানের বিপরীতে ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে। বাণিজ্যিক ভাবে সেই ছবি সফল হতেই টলিউড থেকে ডাক। গত বছর ‘খাদান’-এ দেবের নায়িকা হয়ে আরও একবার দর্শকের মন জয় করে নেন তিনি। চলতি বছর ‘বরবাদ’-এ ফের শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাগিয়ে নেন আরেকটি হিট। আপাতত ‘রঘু ডাকাত’ মুক্তির অপেক্ষা। অর্থাৎ দেবের সঙ্গেই আরও একটি কাজ। অনেকেই মনে করছেন, ইধিকা নাকি টলিউডের ‘লাকি চার্ম’। নায়িকাও কি সহমত? ‘কিশোরী’র কথায়, “আমি শুধু ভাল কাজ করতে চাই। যাতে এভাবেই সকলে আমাকে আরও উৎসাহ দেন। নিজের কাছে এর থেকে বেশি কিছু আর চাওয়ার নেই।”
‘রঘু ডাকাত’-এ ধরা দিয়েছেন অচেনা ইধিকা। চিরাচরিত ছক ভেঙে নতুন চরিত্র হয়ে ওঠার যাত্রা কি খুব বন্ধুর? নায়িকার সহজ উত্তর, “এই ধরনের চরিত্র করতে গিয়ে আলাদা কোন ধরনের প্রস্তুতি নিই, সেটা বলা খুব কঠিন। যে কোনও চরিত্রই কোনও একটি জায়গার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। সেই জায়গার মানুষেরা কী ভাবে কথা বলেন, কী ভাবে থাকেন, সেগুলো লক্ষ্য করতে হয়। তাঁদের যাপনের ভঙ্গিটা রপ্ত করতে হয়। আমার চরিত্রগুলোর সঙ্গে আমি একটা মানসিক সংযোগস্থাপনের চেষ্টা করি। যাঁরা ভরসা করে আমায় এই ধরনের চরিত্র করার প্রস্তাব দিচ্ছেন, তাঁদের সেই আস্থা রাখতে পারাটাও আমার দায়িত্ব।”
