‘ব্যাডমাশ’ রেস্তরাঁর অন্যতম আকর্ষণ এর অনন্য সাজসজ্জা। রেস্তরাঁর ছাদ থেকে ঝুলে থাকা সবুজ গাছপাল, হলুদ ও সবুজ রঙের সংমিশ্রণে তৈরি অভ্যন্তরীণ সাজে যেন এক জঙ্গলের আবহ তৈরি হয়েছে। এই রেস্তরাঁর কলকাতা শাখাটিও বিশেষ জনপ্রিয়। রেস্তরাঁটির মেনুতে রয়েছে নানা রকম নিরামিষ ও আমিষ ভারতীয় খাবার। বেশিরভাগ পদ ৩০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। শাহী টুকড়া ও গুলাব জামুনের মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দাম ৪১০ টাকা।
2
7
‘ব্যাডমাশ’-এর বিশেষ আকর্ষণ অ্যাভোকাডো ভেল । দাম ৩৯৫ টাকা। এটি জনপ্রিয় ভারতীয় স্ন্যাক্স ঝালমুড়ির আধুনিক রূপ। এই পদটি নিয়ে মৌনি বলেন, “আমি অ্যাভোকাডো ও ঝালমুড়ি দুটোই ভালোবাসি, তাই ভাবলাম, দুটো মিশিয়ে কিছু আলাদা করা যাক।”
3
7
এছাড়া রয়েছে একটি সিগনেচার পানীয় ‘মৌনিলিশাস’ । দাম ৬৯৫ টাকা। এটি মিশেছে জিন, শসা, কিউই, লেবু, এল্ডারফ্লাওয়ার এবং সোডা ওয়াটার। মৌনী হাসতে হাসতে বলেন, “আমি মিষ্টি একেবারেই পছন্দ করি না, তাই আমার জন্য তৈরি করা হয়েছে এই ড্রিঙ্ক — সুস্বাদু, কিন্তু একদমই মিষ্টি নয়।” মেনুর অন্যান্য জনপ্রিয় পদগুলির মধ্যে রয়েছে মশলা পিনাট, সেভ পুরি, কান্দা ভাজিয়া ও চিংড়ির পদ, যার দাম প্রায় ৭৯৫ টাকা পর্যন্ত। রুটি বিভাগে রয়েছে তন্দুরি রুটি (১০৫ টাকা), নান (১১৫ টাকা) ও অমৃতসরি কুলচা (১৪৫ টাকা)।
4
7
মৌনী জানান, তাঁর স্বামী সুরজ নাম্বিয়ার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাই তাঁকে এই ব্যবসায় নামার অনুপ্রেরণা দেন। তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেন ভি.আর.ও. হসপিটালিটি প্রাইভেট লিমিটেড-এর সঙ্গে, যা ভারতের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল রেস্তরাঁ চেইন, যার ২৭টিরও বেশি শাখা রয়েছে ভারত এবং দুবাইজুড়ে।
5
7
মৌনী বলেন, “ভ্রমণের সময় আমি প্রায়ই একা বসে কফি ও বই নিয়ে কোনও ক্যাফেতে সময় কাটাতে ভালবাসতাম। তখনই নিজের একটি ক্যাফে খোলার স্বপ্ন দেখতাম। সেটা তখন সম্ভব হয়নি, কিন্তু স্বামী এবং তাঁর বন্ধুদের সহায়তায় এবার তা বাস্তবায়িত হল।”
6
7
খাবারের প্রতি ভালবাসা নিয়ে মৌনী বলেন, “আমি ভারতীয় খাবার খুব ভালবাসি। কাজের জন্য যেখানেই যাই, সেখানকার কোনও ভারতীয় রেস্তরাঁ খুঁজে নিই। আমার মনে হয়েছে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ে ভাল ভারতীয় রেস্তরাঁর সংখ্যা কম, তাই ‘ব্যাডমাশ’ খোলার সুযোগটা আমি হাতছাড়া করতে চাইনি।”
7
7
মৌনী জানান, তাঁর মোট আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ আসে সামাজিক মাধ্যম থেকে, ২০ শতাংশ ছবি থেকে, আর বাকিটা তাঁর ব্যবসা ও ব্র্যান্ড অনুমোদন থেকে। তাঁর কথায়, “আমাদের রেস্তরাঁর ব্যবসা থেকে যা উপার্জন হয়, আমরা তা আবার বিনিয়োগ করি, যাতে আগামী পাঁচ বছরে আরও বড় পরিসরে যেতে পারি। আসলে অনেক সময় বিজ্ঞাপন থেকে সিনেমার চেয়েও বেশি আয় হয়।”