কন্নড় পরিচালক এস নারায়ণের পুত্রবধূ পবিত্রা তাঁর বিরুদ্ধে পণের জন্য হেনস্থার মামলা দায়ের করেছেন বেঙ্গালুরুর জ্ঞানভারতী থানায়। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পুলিশ এস নারায়ণ, তাঁর স্ত্রী ভাগ্যবতী এবং তাঁদের ছেলে পবনকে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়েছে এবং তদন্তে শামিল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগপত্রে পবিত্রা বলেছেন, তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে আরও পণ আনতে বাধ্য করতেন। পবিত্রার দাবি, তাঁকে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল, কারণ তাঁর স্বামী কাজ করতেন না এবং সংসারের দায়িত্ব তাঁরই কাঁধে পড়েছিল। বিয়ের কয়েক মাস পরেই তারা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে একটি ভাড়া বাড়িতে চলে যান। তবে এক বছর পর আবার তাঁরা শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন।
রিপোর্টে পবিত্রার পুলিশের কাছে করা অভিযোগ উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “পবন এখনও তার ডিগ্রি শেষ করতে পারেনি, তাই তার কোনও চাকরি নেই। ফলে পরিবার চালানোর জন্য আমাকে কাজ শুরু করতে হয়েছে। কিছুদিন আগে, সে আমার কাছ থেকে ১ লাখ এবং আমার মায়ের কাছ থেকে ৭৫ হাজার নিয়েছিল একটি গাড়ি কেনার জন্য। এদিকে, আমার স্বামীর পরিবার কলা সম্রাট ফিল্ম অ্যাকাডেমি শুরু করে, আর তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করতে আমি আমার মায়ের সোনা বন্ধক রাখি।”
তিনি আরও অভিযোগে যোগ করেছেন, “পরে অ্যাকাডেমি টি বন্ধ হয়ে যায়। আবারও তারা আমার কাছে টাকা চায়, আর আমি ১০ লাখ টাকার একটি প্রফেশনাল লোন নেই। তারা কেবল কিছু কিস্তি পরিশোধ করে, তারপর বন্ধ করে দেয়।”
 
 পবিত্রা এবং পবন ২০২১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, বিয়ের সময় তাঁর বাবা পবনকে একটি সোনার আংটি উপহার দিয়েছিলেন, যার মূল্য ছিল ১ লাখ টাকার বেশি। কিন্তু ছেলের বিয়ের পর ঝগড়ার কারণে নারায়ণ এবং ভাগ্যবতী তাঁর উপর দোষ চাপান। 
 
 দক্ষিণ ভারতের এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পবিত্রা তাঁর অভিযোগে বলেছেন যে, যদি তাঁর সঙ্গে কোনও অঘটন ঘটে, তবে নারায়ণ, ভাগ্যবতী এবং পবনকে দায়ী করা উচিত। পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় এই মামলা নথিভুক্ত করেছে।
দক্ষিণ ভারতের নামী পরিচালক নারায়ণ। তাঁর পরিচালনায় অভিষেক হয়েছিল রোম্যান্টিক ড্রামা ‘চৈত্রদ প্রেমাঞ্জলি’ দিয়ে। তিনি এরপর অনেক উল্লেখযোগ্য ছবি পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘অনুরাগদা আলেগালু’, ‘মেঘা মালে’, ‘থাভারিনা ঠট্টিলু’, ‘বেভু বেলা’, ‘সূর্য বংশ’, ‘সিমহদ্রিয়া সিমহা’, ‘দক্ষ’, ‘না পান্তা কানো’ এবং ‘মনসু মল্লিগে’ প্রভৃতি।
