সাত বছর পার। ছোটপর্দায় দেখা মেলে না তাঁর। মধুমিতা সরকারের। সূত্রের খবর, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিকের হাত ধরে ঘর ওয়াপসি হচ্ছে নায়িকার। নায়ক হতে পারেন দু'জন। গৌরব চট্টোপাধ্যায় এবং শন বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা গিয়েছিল, নায়িকা হওয়ার দৌড়ে মধুমিতার সঙ্গে নাকি ছিলেন রণিতা দাস এবং দীপান্বিতা রক্ষিত। অবশেষে তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। কী বলছেন তিনি দর্শকের 'পাখি'?
প্রশ্ন রাখতেই ফোনের ওপার থেকে প্রাণখোলা হাসি। মধুমিতা বললেন, "ফিরছি না কি না, সেটা আপাতত রহস্যই থাকুক। সব কিছু এখনই যদি বলে দিই, তা হলে তো আর কোনও উত্তেজনাই থাকবে না"। জল্পনা বজায় রাখলেন নায়িকা। ছোটপর্দার সঙ্গে মধুমিতার সখ্য বহুদিনের। টেলিভিশনের হাত ধরেই অভিনয়ে হাতেখড়ি। তারপর ছবি, ওটিটি। তবে সব মাধ্যমেই কাজ করতে আগ্রহী তিনি। কোনওটিকেই আলাদা ভাবে বেছে নিতে চান না। মধুমিতার কথায়, কোভিডের পর থেকে আমাদের যে কোনও জিনিসের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা খুবই কমে এসেছে। ভাল কন্টেন্ট ছাড়া মানুষ আমাদের কাজ দেখবেন না। তাই আমি চেষ্টা করব, ভাল গল্প নিয়ে কাজ করার। সে যে মাধ্যমেই হোক, আমার সমস্যা নেই।"
ডিসেম্বরে বিয়ে মধুমিতার। প্রেমিক দেবমাল্য চক্রবর্তীর সঙ্গে সাতপাক ঘুরতে চলেছেন নায়িকা। কাজের পাশাপাশি আপাতত সেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই শুরু কেনাকাটার পরিকল্পনা। কী ভাবে সেজে উঠবেন নতুন কনে? লাল বেনারসি নাকি অন্য কিছু? তাঁর উত্তর, "বিয়ের বিষয়ে আমি সব কিছু ট্রেডিশনালই পছন্দ করি। আর লাল রং আমার ভীষণ প্রিয়। আমি হয়তো গতানুগতিক ভাবেই সেজে উঠব। যা আমাদের চোখ দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু তার মধ্যেও আমার নিজস্ব কিছু ছোঁয়া থাকবে। আপাতত সেরকমই ভেবেছি।"
আর পেটপুজো? অতিথিদের পাতে কী কী থাকতে চলেছে? হবু কনে জানান, প্রাথমিক ভাবে একটি মেনু ঠিক করা হয়েছে। তবে তা বদলেও যেতে পারে। তবে মাটন এবং চিংড়ি ধ্রুবক। থাকবে নানা রকমের মিষ্টিও।
লাইট-ক্যামেরা-শুটিংয়ের হাঁকডাকের মাঝেই শুরু নতুন জীবন। ঘরের পর্দার রং থেকে বিছানার চাদর, সোফার কভার, সংসারের খুঁটিনাটিতে নজর রাখতে হবে বৈকি! কী ভাবে সবটা সামলাবেন? সেই পরিকল্পনাও মোটামুটি সারা নায়িকার। তাঁর কথায়, "আমার বর সব সময় আমার পাশে আছে। ও নিজেও খুব ব্যস্ত থাকে কাজ নিয়ে। আর আমার কাজটাও খুব ভাল করে বোঝে। তাই দু'দিক, সামলাতে কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশা করছি। ধারাবাহিক, ছবি বা ওটিটি যা-ই হোক, আমি মন দিয়ে কাজটা করতে পারব। আমি যদি বিয়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে চারটে দিন ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তখনই ও আমাকে কাজের দিকে ঠেলে দেয়। জানতে চায় ইনস্টাগ্রামে কেন পোস্ট করছি না। আমাকে উৎসাহ দেয়।"
জীবনের অনেক ওঠাপড়া পেরিয়ে শৈশবের বন্ধুর মধ্যে মিলেছে ভালবাসার হদিশ। তাঁর সঙ্গেই ঘর বাঁধছেন মধুমিতা। আপাতত নায়িকার দু'চোখ ভরে স্বপ্ন। আর শুধুই ডিসেম্বরের অপেক্ষা।
