মালয়ালম চলচ্চিত্র পরিচালক সানাল কুমার শশীধরণকে রবিবার মুম্বই বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর কারণ হল কেরালা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অনুসন্ধান নোটিস জারি করা হয়েছিল, যা এক মহিলা অভিনেত্রীর দেওয়া হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ফেসবুকে একটি পোস্টে সানাল জানান, তিনি মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন কিন্তু আটক করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, "আমি কোচি সিটি পুলিশের জারি করা অনুসন্ধান নোটিসের অংশ হিসাবে আটক হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, কেরালার পুলিশ এবং কমিউনিস্ট পার্টি আইনের আওতায় আমায় যথাযথভাবে আচরণ করবে। আমার বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে আমি সচেতন নই।"

সানাল ফেসবুকে একাধিক পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি সকলকে জানিয়েছেন যে কী ঘটছে। তিনি ২০২২ সালের অভিনেত্রীর করা একটি পুরনো মামলার কথাও উল্লেখ করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন, মামলার কোনও রায় না আসার পর কেন তাঁর উপর লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, আটক করার পর তাঁকে খাবার বা জল দেওয়া হয়নি। তিনি লিখেছেন, “আমি এখনও এখানেই বসে আছি। খাবার বা জল নেই। কোচি থেকে একটি দল আমাকে নিয়ে যেতে আসছে।”

শশীধর তাঁর কার্যকলাপের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। লিখেছেন, “আমি জানি না কোন ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে স্টকিং মামলা করা হবে। ধারা সঠিকভাবে বলে, যদি একজন পুরুষ নারীর নিরাপত্তার জন্য তাঁর পিছু নেয়, তা স্টকিং নয়। শুরু থেকেই আমি (অভিনেত্রীর) নিরাপত্তার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।”

এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে একজন পুলিশ কর্মকর্তা পিটিআইকে জানান, কোচি সিটি পুলিশ মুম্বই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, এলামাকারা পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে সনালের বিরুদ্ধে একটি বিশিষ্ট মালয়ালাম অভিনেত্রীকে সামাজিক মাধ্যমে হয়রানি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ যখন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করে, তখন সনাল আমেরিকায় ছিলেন। পরে পুলিশ একটি লুকআউট সার্কুলার জারি করে তাঁকে ভারতের আগমনের সময় আটক করার জন্য। এদিকে কোচি সিটি পুলিশ মুম্বই বিমানবন্দরে সনালের আটক হওয়ার খবর পেয়েছে। একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানান, “আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছি। যখন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাবে, তখন মুম্বইয়ে একটি পুলিশের দল পাঠানো হবে যাতে শশীধরণকে হেফাজতে নেওয়া যায়।”
পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে ২০২২ সালে সনাল একই অভিনেত্রীকে অনলাইনে স্টকিং করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে পরে আলুভা জুডিশিয়াল ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জামিনে মুক্তি দেন।