আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ উত্তরাখণ্ডের পর গুজরাট। রঞ্জিতে ইডেনে দুটো ম্যাচ থেকেই ছয় পয়েন্ট করে পেয়েছে বাংলা। এবার প্রতিপক্ষ ত্রিপুরা। খেলা হচ্ছে আগরতলায়। কিন্তু প্রশ্ন তিন পয়েন্ট পাবে তো বাংলা?‌
বাংলার পয়েন্ট প্রাপ্তির সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে হনুমা বিহারি। শুরুতে মহম্মদ কাইফের ভয়ানক স্পেলের ঝটকা সামলে দিনের শেষে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত তিনি। তবে সামি সোমবার উইকেটহীন। বাংলার ৩৩৬ রানের জবাবে ত্রিপুরার রান তৃতীয় দিনের শেষে ৭ উইকেটে ২৭৩।


৯ উইকেটে ৩৩৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলা। তবে শুরুতেই ব্যক্তিগত ৪০ রানে মণিশঙ্কর মুরাসিংহের বলে বোল্ড হয়ে যান শাহবাজ আহমেদ। ফলে বাংলার স্কোর বোর্ডে আর কোনও রান যোগ হয়নি। ত্রিপুরার হয়ে মুরাসিংহ ও রানা দত্ত নিলেন ৩টি করে উইকেট। বিক্রমকুমার দাস নেন দু’টি। বাকি উইকেট ভাগ করে নেন অভিজিৎ সরকার এবং স্বপ্নিল সিং। জবাবে শুরুতে একঝাঁক উইকেট খোয়ায় ত্রিপুরা। মহম্মদ কাইফের দাপটে ৫৩ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় মুরাসিংহের দল। এরপর সেন্টু সরকারকে নিয়ে কিছুটা লড়াই চালান পরিচিত মুখ হনুমা বিহারি। সেন্টুকে ২০ রানে সাজঘরে ফেরান রাহুল প্রসাদ। ত্রিপুরার রান তখন ৬ উইকেটে ৯৩।


এরপরই লড়াই চালান হনুমা বিহারী। যেমন লড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সঙ্গে নিয়ে। প্রথমে বিজয় শঙ্কর (৩৪)–কে সঙ্গে নিয়ে ১০৭ রানে জুটি গড়েন। কাইফের শিকার হয়ে বিজয় ফেরার পর অধিনায়ক মুরারিসিংহ (৪২)–কে নিয়ে ইতিমধ্যেই অপরাজিত ৭৩ রানের পার্টনারশিপ। যা চিন্তায় রাখছে বাংলাকে।


এদিকে, গোটা ইনিংসে ১৯ ওভার বল করলেও উইকেটহীন সামি। কাইফ পেলেন ৪ উইকেট। বাকি তিনটি শিকার ঈশান পোড়েল, শাহবাজ, রাহুল প্রসাদের। বৃষ্টির ফলে প্রথম দু’টো দিন অনেকটাই সময় নষ্ট হয়েছে। তাছাড়াও বড় ইনিংস গড়ার সুযোগ নষ্ট করেছে বাংলা। ১ উইকেটে ২১৩ থেকে ৩৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে অভিষেক পোড়েলের দল। এরপর ত্রিপুরাকে শুরুতে জোর ধাক্কা দিলেও মোমেন্টাম ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন বঙ্গ পেসাররা। চতুর্থ দিন তাড়াতাড়ি ত্রিপুরার বাকি উইকেট ফেলতে না পারলে বিপদ। ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে ফয়সালা হওয়া প্রায় অসম্ভব। এখন একটাই লক্ষ্য দুই দলের। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়া। প্রথম ইনিংসে লিড নিলেই ৩ পয়েন্ট আসবে। পিছিয়ে থাকা দল পাবে ১ পয়েন্ট।