আজও কাটেনি শোলের রেশ! অমিতাভ নন, সুপারহিট ছবিটি করে কে সবচেয়ে বেশি টাকা পান? সবচেয়ে কমই বা জোটে কার কপালে
‘শোলে’ দেখেননি এমন মানুষ বোধ হয় খুঁজলেও মিলবে না। বয়স ৫০ হলেও এই ছবির গান, সংলাপ আজও একই রকম জনপ্রিয়। অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনি, আমজাদ খানের মতো তারকাদের অভিনয় পর্দায় যে জাদুকাঠি ছুঁইয়েছিল, তার রেশ কাটেনি আজও। কিন্তু শোলের জন্য কে কত পারিশ্রমিক পেয়েছিল জানেন?
বলিউড সূত্রে খবর, অমিতাভ নন, এই ছবির জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। সেই সময়ে পর্দায় বীরুর চরিত্রকে জীবন্ত করতে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয় তাঁকে। ছবির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ঠাকুর বলদেব সিং-কে পর্দায় ফুটিয়ে তুলে সঞ্জীব কুমার পেয়েছিলেন এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
‘শোলে’র প্রসঙ্গ উঠলেই মনে পড়ে যায় গব্বর সিংকে। যে ডাকাত সর্দারের উৎপাতে নাজেহাল হয়ে পড়েছিল গোটা রামগড় গ্রাম। সেই ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছিলেন আমজাদ খান। তাঁর মুখে সেই বিখ্যাত সংলাপ ‘কিতনে আদমি থে’, আজও সিনেপ্রেমীদের মুখে ঘোরে। এই ছবিতে অভিনয় করে ৫০ হাজার টাকা রোজগার করেছিলেন অভিনেতা।
বীরুর প্রেমিকা বাসন্তীর চরিত্রে পর্দায় নতুন উন্মাদনার সঞ্চার করেছিলেন হেমা মালিনি। তাঁর প্রাণখোলা হাসি, মজার সব সংলাপ এবং ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে রসায়ন ‘শোলে’ সাফল্যের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেয়। এই ছবির জন্য হেমার আয় হয়েছিল ৭৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: মেয়েকে নিয়ে ভিডিও করতেই ধেয়ে এল কটাক্ষ! দেখা মাত্রই 'মিশকা'র দেওয়া জবাব ভাইরাল নেটপাড়ায়
শুধু ধর্মেন্দ্র-হেমা জুটিই নয়, শোলে অমিতাভের সঙ্গে জয়ার সমীকরণও ছবিতে ছিল দেখার মতো। ঠাকুর বলদেব সিংয়ের বিধবা পুত্রবধূ রাধার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জয়া। পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ৩৫ হাজার টাকা।
আর মাত্র এক সপ্তাহ। ১৫ আগস্ট ৫০-এ পা দেবে ‘শোলে’। ছবিটি একটানা পাঁচ বছর সিনেমা হলে চলে, যা তখন অবিশ্বাস্য ছিল। তবে এ হেন সফল ছবির প্রযোজক জি পি সিপ্পি এক সময় দিন কাটান চরম অনটনে। জি.পি. সিপ্পির জন্ম হয়েছিল করাচির এক অভিজাত ব্যবসায়ী পরিবারে। কিন্তু দেশভাগ এসে সব কিছু ওলটপালট করে দেয়। তাঁদের প্রাসাদোপম বাড়ি, বড় ব্যবসা—সব ফেলে একরাতে পালাতে হয়েছিল মুম্বইয়ে। বাকি হাজারওস উদ্বাস্তু পরিবারের মতোই, সিপ্পি পরিবারকেও শুরু করতে হয় শূন্য থেকে।
‘শোলে’র সাফল্যের পর সিপ্পি ছিলেন চূড়ায়। তিনি প্রযোজনা করেন ডিম্পল কাপাডিয়ার কামব্যাক ছবি সাগর, পাথর কে ফুল, রাহু বান গেয়া জেন্টলম্যান সহ একাধিক সফল ছবি।
২০০৭ সালে ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন এই কিংবদন্তি প্রযোজক। রেখে যান একটা সিনেমা সাম্রাজ্য, একটা মিথ, আর হাজারো স্বপ্নপূরণের অনুপ্রেরণা।
