মুম্বইয়ে দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠেছিলেন অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। শামিল হয়েছিলেন সেখানকার বিখ্যাত মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয়। পরিবারের সদস্যদের আতিথেয়তা আর আন্তরিকতায় আপ্লুত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বোন।
2
6
আজকাল ডট ইনকে পল্লবী বললেন, “ওদের ওখানে গেলে বলে মনে হয় যেন নিজের পরিবারের মধ্যে রয়েছি। ঠাকুরের ভোগ পরিবেশন করি। আনন্দ করি। প্রচুর তারকা ওখানে আসেন, প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এবার দেখলাম দ্বিতীয় প্রজন্মের সকলে কী সুন্দর পুজোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। দেবু আঙ্কল মানে দেব মুখার্জি যে আর নেই, এটা ভাবাই যায় না। কিন্তু ভাইবোনরা মিলে এত সুন্দরভাবে সবটা করেছে যে, তাকিয়ে থাকতে হয়।”
3
6
মুখোপাধ্যায় বাড়ির সদস্যদের সিংহভাগই তারকা। তাঁদের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। কিন্তু পুজোর ক’টা দিন নাকি সে সব বোঝারই উপায় নেই। পল্লবীর কথায়, “রানি-কাজলরা এত বড় তারকা। কিন্তু ওরা একেবারেই মাটির মানুষ। এতজনকে ভোগ খাওয়ানো, ভিড় সামলানো, সব দিকেই ওদের নজর। পুজোর বেশিরভাগ সময়টাই আমি ওখানেই কাটাই।”
4
6
পুজোয় জাঁকজমক যেমন দেখার মতো, তেমনই অতিথি আপ্যায়নেও কোনও খামতি রাখে না মুখোপাধ্যায় পরিবার। সপ্তমি-অষ্টমী মিলিয়ে খাবারের আয়োজন হয় দেখার মতো। খিচুড়ি, লাবড়া, বেগুনি, আলুর দম, চাটনি, পায়েস, রসগোল্লা, লেডিকেনি— কী নেই তালিকায়! তার সঙ্গেই থাকে নানা রকমের ফুড স্টল, বয়স্কদের জন্য গল্ফ কার্টের ব্যবস্থা। বৃষ্টিতে যাতে দর্শনার্থীদের কোনও রকম সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর রাখেন পরিবারের সদস্যরা।
5
6
বিনোদনেরও ভরপুর আয়োজন ছিল মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয়। বাংলার সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিতের গানের সুরে ভেসেছেন সকলে। প্রশংসিত দুই শিল্পী। অষ্টমীর দিন পারফর্ম করেন প্রীতম। অভিনেত্রীর কথায়, “ওখানকার পরিবেশ এতটাই ঘরোয়া যে তারকারাও ওখানে ছুটে আসেন। ওটা তো একটা বাড়ির পুজো। বারোয়ারি পুজো নয়। রণবীর কাপুর থেকে শুরু কত তারকা এই পুজোতে আসেন। রানির মা কৃষ্ণাদি উইল চেয়ারে বসেও সকাল থেকে সন্ধ্যা ওখানে কাটান। ঢাক বাজানো, ধুনুচি নাচ— কতকিছু হয়! মন একেবারে ভরে যায়।”
6
6
উল্লেখ্য, প্রসেনজিতের সঙ্গেই জীবনের প্রথম ছবি করেছিলেন রানি। নায়কের বোন পল্লবীর সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক। অভিনেত্রীর কথায়, “রানির মধ্যে এতটুকু অহঙ্কার নেই। ওদের তো একদম ছোট থেকে দেখেছি। তবু আমিই একটু কথা বলতে দ্বিধা বোধ করি। কারণ ওরা এত বড় তারকা। কিন্তু ও ঠিক ডেকে আমার সঙ্গে কথা বলবে। আমাদের এখানেও হয়তো অনেকে এতটা ভালবাসা দেখাবে না, যতটা ওরা দেখায়।”