রণবীর কাপুর জানিয়েছেন, অভিনয়ের পাশাপাশি তার আরেকটা বড় স্বপ্ন আছে।  ভবিষ্যতে তিনি একজন অভিনয় প্রশিক্ষক হতে চান। নিজের হাতে গড়তে চান আগামীর তারকাদেক। ‘রকস্টার’ অভিনেতার মতে, নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের শেখানো এবং সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়া তাঁকে নতুন উদ্যম ও অনুপ্রেরণা দেবে।
মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে রণবীর বলেন, “ফিল্ম ইনস্টিটিউট এমন জায়গা, যেখানে অসংখ্য স্বপ্ন আর প্রতিভা একসঙ্গে জড়ো হয়। আমার স্বপ্ন, একদিন আমি যন অভিনয় শেখাতে পারি, নিজের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি এটা শুধু শেখানোর জন্য করতে চাই না। কেরিয়ারের এমন এক পর্যায়ে আছি যেখানে ভারাক্রান্ত বোধ করছি। তাই নতুনদের সঙ্গে কাজ করলে আমিও নতুন এনার্জি পাব।”

বৃহস্পতিবার রণবীর অংশ নেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সুভাষ ঘাইয়ের হুইসলিং উডস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সেলিব্রেট সিনেমা ২০২৫ উৎসবে। সেখানেই তিনি মনের এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এর আগে রণবীর পরিচালনার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এক ইনস্টাগ্রাম লাইভে বলেন, “আমি মরিয়া একটা সিনেমা পরিচালনা করতে। ইতিমধ্যেই আমি দুটো আইডিয়ায় কাজ শুরু করেছি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমি নিজের ছবি পরিচালনা করব।”

এখন রণবীর ব্যস্ত সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ছবির কাজ নিয়ে। যেখানে তার সহ-অভিনেতা আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশল। এছাড়া তিনি নীতিশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’এ অভিনয় করছেন, যা আগামী দীপাবলিতে মুক্তি পাবে।রণবীরকে দেখা যাবে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ব্লকবাস্টার ‘অ্যানিম্যাল’এর সিক্যুয়েলেও।

এখানেই শেষ নয়। স্বজনপোষণ নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন রণবীর। অভিনেতা নিজেকে ‘স্বজনপোষণের ফল’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফিল্মি পরিবারে জন্মানোর সুবিধাগুলি সম্পর্কে তিনি সব সময়ই ওয়াকিবহাল ছিলেন। তবে অভিনেতা মনে করেন, পরিবারের নাম কেবল সফলতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। কাপুর পরিবারে চতুর্থ প্রজন্মের সদস্য রণবীর জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং নিজের প্রতিভাকে প্রমাণ করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।

তিনি বলেন, “আমি স্বজনপোষণের ফল, আমার জীবনটা অনেক সহজ ছিল। কিন্তু আমি সবসময় কঠোর পরিশ্রম করেছি, কারণ আমি বুঝেছি, আমি এমন একটি পরিবারের সন্তান যেখানে আমি যদি আলাদা পথে না এগোই এবং নিজের নাম গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে চলচ্চিত্র জগতে সফল হতে পারব না। আমার পরিবারের অনেক সাফল্য উদযাপন করা হয়, কিন্তু ততটাই ব্যর্থতাও আছে। যেমন সাফল্য থেকে শেখা যায়, তেমনি ব্যর্থতা থেকেও শেখা যায়।”