আপনি যদি কিছুদিন স্কিন কেয়ার করতে বন্ধ করে দেন, তাতেই ত্বক মুহূর্তে, শুষ্ক, অবসন্ন এবং ম্লান দেখাতে শুরু করে। আজকাল কম বয়সেও অনেকের ত্বক বুড়ো দেখাতে শুরু করেছে। দাগছোপ, পিগমেন্টেশন, বলিরেখা, ফাইন লাইন—এগুলো ত্বকে তরুণ অবস্থায় বয়সের ছাপ ফেলতে পারে। বাজারে অনেক ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, যা ত্বককে পরিষ্কার, দাগহীন এবং সতেজ রাখার দাবি করে। তবে এই প্রোডাক্টগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে, বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে।
 
 
 এই পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক হোম রেমেডি ব্যবহার করে ত্বকের এই সব সমস্যা দূর করা সম্ভব। ত্বকের জন্য চালের জল এবং ফিটকিরি খুবই কার্যকর ধরা হয়। এই দু’টি উপাদানই ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। এতে এমন অনেক উপাদান থাকে, যা ত্বকের জন্য উপকারী।
 
 
 চালের জল এবং ফিটকিরি ব্যবহার করার সুবিধা
 
 
 চালের জল মুখে লাগালে ত্বক পুষ্টি পায় এবং আর্দ্রতা বজায় থাকে। ফিটকিরির মধ্যে প্রাকৃতিক এস্ট্রিনজেন্ট থাকে, যা ত্বককে টাইট করে। বড় এবং খোলা পোর ছোট হয়। এই দু’টি একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগালে অনেক ধরনের ত্বকের সমস্যা দূর হয়।
 
 
 চালের জল ব্যবহার করলে ত্বকের ইরিটেশন, জ্বালা এবং লালচে ভাব কমানো যায়। ফিটকিরি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা ব্রণ এবং মাইক্রোবের বিরুদ্ধে কার্যকর।
 
 
 চালের জলে ভিটামিন বি৩ থাকে, যা ত্বককে পরিষ্কার করে এবং রঙ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। খোঁপড়া ব্যবহার করলে দাগছোপ কমানো যায়, ট্যানিং কমে এবং ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকে।
 
 
 ত্বকে যদি  তরুণ অবস্থায় বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে, তাহলে চালের জল এবং ফিটকিরি মিশিয়ে ব্যবহার শুরু করা উচিত। এতে ত্বকের কোষ মেরামত হয়।
 
 চালের জল ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং ট্যানিং কমায়। ফিটকিরি ত্বকের পোর থেকে ময়লা সরায়। এই দুটি একসাথে ব্যবহার করলে ত্বক অভ্যন্তরীণভাবে পরিষ্কার হয়, পিএইচের ভারসাম্য বজায় থাকে, দীর্ঘদিন ত্বক সতেজ এবং টাইট থাকে।
 
 
 চালের জল এবং ফিটকিরি ব্যবহার করার উপায়
 
 
 কিছু চাল প্রথমে দু’তিনবার ধুয়ে নিন।
 
 এরপর এই ধোয়া চালে জল দিয়ে রাখুন।
 
 আধা কাপ চালের জস নিন।
 
 এক চতুর্থাংশ ফিটকিরির পাউডার নিন।
 
 এই দু’টি একটি বাটিতে ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
 
 মুখ প্রথমে জল দিয়ে পরিষ্কার করুন।
 
 এই মিশ্রণটি ত্বক এবং ঘাড়ে তুলো ব্যবহার করে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে দিন।
 
 এরপর হালকাভাবে মুখে ম্যাসাজ করুন এবং জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
 
 সপ্তাহে এক থেকে দু'বার এটি ব্যবহার করা যায়।
