থেমে গেল সুর! প্রয়াত গায়ক এবং অভিনেতা ঋষভ ট্যান্ডন। বুধবার, ২২ অক্টোবর দিল্লিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকের কারণে। দীপাবলি উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করতে তিনি মুম্বই থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন।
ঋষভের প্রাক্তন সহকর্মী সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই মুহূর্তে পরিবার এবং ঘনিষ্ঠরা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ঋষভ মুম্বইয়ে স্ত্রীয়ের সঙ্গে থাকতেন। তবে উৎসবের ছুটি কাটাতে কয়েকদিনের জন্য দিল্লিতে ফিরেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর পরিবার বর্তমানে সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা ও শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। আত্মীয়রা দিল্লিতে পৌঁছনোর পরই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। পরিবার এই কঠিন সময়ে গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।
ঋষভ ‘ইয়ে আশিকি’, ‘ইশ্ক ফকিরানা’ এবং ‘চাঁদ তু’–এর মতো জনপ্রিয় গানের জন্য পরিচিত, সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছিলেন। তাঁর কণ্ঠ তাঁকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তোলে।
পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ঋষভের ব্যক্তিগত জীবনও বহুবার শিরোনামে উঠে এসেছে। এক সময় অভিনেত্রী সারা খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। সারার সিঁদুর পরা একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর তাঁদের বিয়ের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরে সারা প্রকাশ্যে সেই দাবি অস্বীকার করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের আগে তাঁরা কয়েক বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন।
পরবর্তীতে ঋষভ বিবাহ করেন ওলেসিয়া নেদোবেগোভাকে, যিনি রাশিয়ার নাগরিক। এক সাক্ষাৎকারে ঋষভ জানিয়েছিলেন, ওলেসিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় উজবেকিস্তানে শুটিং চলাকালীন, যেখানে তিনি তাঁর ডিজিটাল সিরিজের লাইন প্রোডিউসার হিসাবে কাজ করছিলেন। তিনি আরও বলেন, “প্রথমবার দেখা হয়েছিল আকস্মিকভাবে। সেদিন কথা হয়নি, কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমি উজবেকিস্তান ছাড়ার দিন আবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়।”
ঋষভের মৃত্যুর খবরে বলিউড এবং সঙ্গীতজগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবার ঘনিষ্ঠদের অনুরোধ, এই কঠিন সময়ে যেন তাঁদের একান্তে শোকপ্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়।
ঋষভের শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি ছিল তাঁর স্ত্রী ওলেসিয়ার সঙ্গে। দম্পতিকে দেখা গিয়েছিল একসঙ্গে করওয়া চৌথ উদযাপন করতে। দু’জনের মুখেই ছিল উজ্জ্বল হাসি। উদযাপনের আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। সেই পোস্টই ঋষভের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেষ পোস্ট হয়ে থেকে গেল।
