বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন সোহা আলি খান একজন কিংবদন্তি অভিনেত্রীর অক্সফোর্ড-শিক্ষিত কন্যা হিসেবে। তবে তারকাখচিত পরিবারে জন্ম নিলেও সোহা কখনও বড় পর্দায় স্থায়ী ছাপ রাখতে পারেননি। তবে শর্মিলা ঠাকুর এবং মনসুর আলি খান পটৌদির ছোট মেয়ে মূলধারার সিনেমার বাইরে নিজের জায়গা গড়ে তুলেছেন লেখালেখি, পডকাস্ট এবং পরিবারকে কেন্দ্র করে।
2
7
সোহা ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা শর্মিলা হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হিসাবে পরিচিত। বাবা মনসুর আলি খান পটোদি ছিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের এক অন্যতম সফল অধিনায়ক। সোহার দাদা সইফ আলি খান বর্তমানে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা এবং বৌদি করিনা কাপুর খানও সফল অভিনেত্রী।
3
7
সোহা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি মুম্বইয়ের কর্পোরেট সেক্টরে কাজ শুরু করেন, যেখানে বার্ষিক বেতন ছিল প্রায় ২ লাখ টাকা। সোহা প্রায়ই সেই সব দিনের কথা স্মরণ করেন যখন তিনি নিজের খরচ নিজে চালাতেন এবং পরিবারের তকমা ছাড়াই কাটত তাঁর জীবন।
4
7
২০০৪ সালে তিনি বলিউডে পা রাখেন সোহা। শাহিদ কাপুরের বিপরীতে ‘দিল চাহে মোর’ ছবিতে তাঁর আত্মপ্রকাশ হয়। যদিও ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়নি। তবু ‘রং দে বসন্তি’ (২০০৬) ছবিতে তাঁর অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা পায় এবং তাঁকে সেরা সহ-অভিনেত্রীর জন্য মনোনয়ন এনে দেয়।
5
7
তবু সোহার অধিকাংশ ছবি যেমন ‘অহিস্তা অহিস্তা’, ‘খোয়া খোয়া চাঁদ’, ‘মুম্বই মেরি জান’, ‘সাহেব, বিবি অর গ্যাংস্টার’ বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। ফলে তাঁর অভিনয় জীবন কখনও ভাল করে প্রস্ফুটিত হয়নি।
6
7
তবে সোহা হাল ছাড়েননি। ২০১৭ সালে তিনি তার আত্মজীবনী ‘দ্য পেরিলস অফ বিইং মডারেটলি ফোমস’ প্রকাশ করেন, যা তাঁর জীবনের খোলামেলা এবং হাস্যরসাত্মক বর্ণনা। বইটি ক্রসওয়ার্ড বুক অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। সম্প্রতি তিনি পডকাস্টিংয়ে প্রবেশ করেছেন। ‘অল অ্যাবাউড হার’ নামে তাঁর পডকাস্টে তিনি নারীর জীবনের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যা সাধারণত খোলাখুলি আলোচিত হয় না।
7
7
২০১৫ সালে অভিনেতা কুণাল কেমুকে বিয়ে করেন সোহা। তাঁদের একটি মেয়ে আছে। ইনায়া নাউমি কেমু। বর্তমানে তিনি লেখিকা, পডকাস্টার এবং অভিনেত্রী। একই সঙ্গে স্বামী কুণালের সঙ্গে পরিবারও সামলাচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমে প্রায়ই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ঝলকও শেয়ার করেন অভিনেত্রী।