আজকাল ওয়েবডেস্ক: গরমে কম-বেশি সকলেরই পছন্দ তরমুজ। বসন্তের শেষে মিষ্টি রসালো এই ফল ঢেলে বিক্রি হয়। কিন্তু তরমুজ কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। অভিজ্ঞ ক্রেতারাও বাজারে এই ফল কিনতে গিয়ে ঠকে যান। অনেক সময়েই দেখা যায়, বাইরে থেকে দেখতে সুন্দর, নিটোল মনে হলেও তরমুজটির ভিতর একেবারেই লাল নয়, সাদাটে। স্বাদও মোটেই মিষ্টি নয়। সেক্ষেত্রে কয়েকটি সহজ উপায় জানলেই সঠিক তরমুজ বাছাই করতে পারবেন। জেনে নিন সেই বিষয়ে- 

১. তরমুজ কেনার সময়ে হাতে নিয়ে দেখুন, তা ভারী কিনা। যে তরমুজ পুরোপুরি পেকে যায়, তাতে প্রচুর রস থাকে বলে ভারী হয়। আর যদি তরমুজটি হালকা হয় তাহলে তা ঠিকঠাক নাও পাকতে পারে। ওই তরমুজ লাল ও মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

২. পাকা তরমুজ রসালো হওয়ার কারণে তাতে টোকা দিলে ভিতরে মূলত ফাঁপা শব্দ হয় এবং প্রতিধ্বনি শোনা যায়। অন্যদিকে, কাঁচা তরমুজে তুলনামূলক উচ্চ স্বরের শব্দ হয়। আবার অতিরিক্ত পাকা তরমুজে আঘাত করলে ভারী ও থেঁতলানো ধরনের শব্দ হবে। এই শব্দের পার্থক্য বুঝতে পারলেই তরমুজের কেনায় আর কোনও সমস্যা থাকবে না। 

৩. তরমুজের বোঁটা শুকনো নাকি সতেজ, তা দেখে খেয়াল করুন। পাকা তরমুজের বোঁটা হয় বাদামি। বেশি পাকা হলে এই বোঁটা খসে পড়ে যেতে পারে। কিন্তু কাঁচা তরমুজের বোঁটা থাকবে সবুজ রঙের। তাই লাল তরমুজ কিনতে চাইলে সবুজ রঙের বোঁটার তরমুজ একদমই কিনবেন না।

৪. তরমুজ গোলাকার বা ডিম্বাকার-যে আকারেরই হোক না কেন, তার আকৃতি সুষম কিনা দেখে কিনুন। কারণ সুষম বা সব পাশে সমান এমন তরমুজ তুলনামূলক ভাল। তরমুজের আকার ঠিক না থাকলে মিষ্টি না হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। 

৫. তরমুজ কেনার আগে আঙুল দিয়ে মাপুন। এই পদ্ধতিতে আপনার তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল দুটি একসঙ্গে ধরে তরমুজের গাঢ় সবুজ অংশের প্রস্থ মাপুন। আঙুল দুটি যদি সহজেই দুটি সাদা ডোরা দাগের মাঝের গাঢ় সবুজ অংশের মধ্যে এঁটে যায়, তাহলে বুঝবেন তরমুজ পাকা। ফলে সেই তরমুজে পানসে ভাব থাকবে না।