আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের পাহাড়ি রাস্তায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বুধবার মিরিকের নলদাড়ায় ১৫০ ফিট নীচে গড়িয়ে পড়ল যাত্রী বোঝাই গাড়ি। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ যাত্রীর। আহত ১৬ জন। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে দু'জন পুরুষ ও একজন মহিলা। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। 

জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দিনের মতো এদিনও যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল গাড়িটি। ওই চার চাকা গাড়িটি চালক-সহ মোট ১৯ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের কাঁকরভিটা থেকে মিরিকের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর মিরিকের কাছে নলদাড়ায় পৌঁছতেই আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে প্রায় ১৫০ ফিট নীচে খাদে পড়ে যায় যাত্রী বোঝাই ওই গাড়িটি।  

 

প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।  আহত হন ১৬ জন যাত্রী। দুর্ঘটনা ঘটার পর তড়িঘড়ি স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মিরিক ও পানিঘাটা ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর পুলিশ পৌঁছে প্রথমে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে পাত্তাই দিচ্ছে না রাশিয়া, পুতিনের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত হতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘ব্যর্থ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের চিকিৎসা চলছে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে মৃত দুজন নেপালের এবং একজন নকশালবাড়ির জাবরার বাসিন্দা।

উল্লেখ্য চলতি মাসের ১৮ তারিখে কার্শিয়াং এর পাঙ্খাবাড়ি এলাকায় প্রায় একশ ফিট নিচে খাদে পড়ে একটি চারচাকা গাড়ি। সেই ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয় এবং গুরুতর জখম আরও তিন যুবক। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার খাদে পড়ল পর্যটকদের গাড়ি। 

আরও পড়ুন: বিপুল ছাঁটাইয়ের পর ভারতের আইটি সেক্টরের জন্য সুখবর! ফ্রেশার নিয়োগ শুরু করেছে সংস্থাগুলি

এর পাশাপাশি স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  মিরিক যাওয়ার এখন একমাত্র ভরসার রাস্তা টিংলিং হয়ে। আর ওই রাস্তার উপর দিয়ে যান চলাচল এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে যেকোনো সময় সেখানে বড়সড়ো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, অবিলম্বে প্রশাসনের উচিত দুধিযায় লোহার ব্রিজের পাশে হিউম পাইপের ব্রিজ দ্রুত চালু করা। তা না হলে ফের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঝরতে পারে আরও প্রাণ। তাঁদের কথায়, একদিকে যেমন সাম্প্রতিক বন্যার স্মৃতি মুছে ফেলে পর্যটকরা আবার পাহাড়মুখী হচ্ছেন তেমনি সামনেই শীতের মরসুম। এই সময়ে বহু পর্যটক সমতল থেকে পাহাড়ে বেরাতে আসেন। ফলে পাহাড়ের রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এই বিষয়টি কিন্তু মাথায় রাখা উচিত বলেই স্থানীয়দের দাবি।